Official Website of Kolkata Municipal Corporation
   
۩   প্রথম পাতা
উৎকর্ষতা বৃদ্ধি কর্মসূচি :: কয়েকটি জরুরি প্রশ্নোত্তর
 
১। উৎকর্ষতা বৃদ্ধি কর্মসূচি কী?
২। উৎকর্ষতা বৃদ্ধি কেন?
৩। উৎকর্ষতা বৃদ্ধির প্রয়োজন ছিল কতটা?
৪। এই কর্মসূচির ক্ষেত্রগুলি কী কী? সহযোগী/পরামর্শদাতাই বা কারা?
৫। এর রূপায়ণের দায়িত্বে রয়েছেন কারা?
৬। এই কর্মসূচির প্রত্যাশিত লাভ কী কী?
 

১। উৎকর্ষতা বৃদ্ধি কর্মসূচি কী?
এশীয় উন্নয়ন ব্যাঙ্কের আর্থিক সহায়তায় গঠিত কলকাতা পরিবেশ উন্নয়ন প্রকল্প (কে ই আই পি) -র পাঁচদফা কর্মসূচির একটি হল, কলকাতা পৌরসংস্থার জন্য মহানগরীতে সুদৃঢ় ও সুসংবদ্ধ পৌর পরিষেবার সংস্থান করা। ব্রিটিশ সরকারের অধীনস্ত "আন্তর্জাতিক উন্নয়ন দপ্তর (ডি এফ আই ডি)" এই কর্মসূচি বাস্তবায়িত করার জন্য ৬ বছরের সময় সীমার মধ্যে ২৮.৩ মিলিয়ন পাউন্ড অর্থ সাহায্য করতে রাজি হয়েছে।


২। উৎকর্ষতা বৃদ্ধি কেন?
কলকাতা মহানগরীর নাগরিকদের প্রতি সুদৃঢ় ও সুসংবদ্ধ পৌর পরিষেবা পৌছে দেওয়ার ব্যবস্থাপনার কাজ অধিকতর দক্ষতার সাথে করা।


৩। উৎকর্ষতা বৃদ্ধির প্রয়োজন ছিল কতটা?
ক) অত্যন্ত জটিল সমস্যা ও চূড়ান্ত বৈচিত্র ও বৈপরীত্য : মোট ১৮৭ বর্গ কিমি আয়তন এবং ৪৬ লক্ষ মানুষের বাসভূমি কলকাতা হল পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে বৃহত্তম এবং ভারতের অন্যতম বৃহৎ স্থানীয় প্রশাসনিক সংস্থা।

খ) ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট : স্বাধীনতা উত্তর (১৯৪৭ পরবর্তী) সময়ে এই মহানগরী তার পরিবেশের অধঃপতনের সাক্ষী যখন পার্শ্ববর্তী বাংলাদেশ থেকে উদ্বাস্তু মানুষের ঢেউ এসে পৌর পরিষেবা ব্যবস্থাকে নিয়ন্ত্রণের বাইরে নিয়ে ফেলেছিল। তখন থেকেই এই শহরে পৌর পরিষেবার বর্ধিত আকাশচুম্বী চাহিদার সাথে তাল মেলানো কঠিন হয়ে পড়ে, বর্তমানে কলকাতা, যার অধিবাসীদের মধ্যে ২৬.৩০ শতাংশ বস্তিবাসী এবং উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষ দারিদ্র্য সীমার নিচে বসবাস করেন, তার পরিবেশ সংক্রান্ত সমস্যায় চরম জর্জরিত।

গ) কলকাতা পরিবেশ উন্নয়ন প্রকল্প (কে ই আই পি) : এই প্রকল্পের পরিকাঠামো উন্নয়ন তহবিলের সিংহভাগ খরচ হয় রাস্তা, নিকাশি ও পয়ঃপ্রণালি, জল সরবরাহ এবং কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য। কে ই আই পি-র অধীনস্ত এইসব কর্মসূচি এবং উদ্যোগগুলিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য কলকাতা পৌরসংস্থায় উৎকর্ষতা বৃদ্ধির পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

ঘ) নিম্ন আর্থিক সম্পন্নতা : আর্থিক ক্ষমতার অপ্রতুলতা হেতু উন্নত পরিষেবা প্রদানে যথেষ্ট পরিমাণ সম্পদ বিনিয়োগ কঠিন হয়ে পড়ে এবং সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় দরিদ্র মানুষের প্রাপ্য পরিষেবা।


 

উৎকর্ষতা বৃদ্ধি এবং তাকে ধরে রাখা পৌরসংস্থার কাছে কোন বিলাসিতা নয় বরং মহানগরীর পুনর্গঠন ও মানুষের জন্য উন্নত জীবনযাত্রার লক্ষ্য পূরণের বাধ্যবাধকতা।

 

৪। এই কর্মসূচির ক্ষেত্রগুলি কী কী? সহযোগী/পরামর্শদাতাই বা কারা?

ক্রম
ক্ষেত্র
পরামর্শদাতা/সহযোগী
সি বি পি ০০১ সাংগঠনিক উন্নয়ন
এ এফ ফার্গুসন (এ এফ এফ)
সি বি পি ০০২ কম্পিউটারীকরণ
টাটা কনসালটেন্সি সার্ভিস (টি সি এস)
সি বি পি ০০৩ জনসংযোগ ও যোগাযোগ
 
সি বি পি ০০৪ ভৌগোলিক তথ্য ব্যবস্থা
টাটা কনসালটেন্সি সার্ভিস (টি সি এস)
সি বি পি ০০৫ কর্মসূচির ব্যবস্থাপনা
রূপায়ণ
ব্যবস্থাপনা এবং পরিচালনা
সামাজিক অংশগ্রহণ
নগর পরিকল্পনা
কে পি এম জি অ্যাডভাইসারি সার্ভিসেস
সি বি পি ০০৬ সম্পদ ব্যবহার এবং উন্নত অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা
আই সি এ আই-অ্যাকাউন্টিং রিসার্চ ফাউন্ডেশন

৫। এর রূপায়ণের দায়িত্বে রয়েছেন কারা?
কলকাতা পৌরসংস্থার মধ্যেই উৎকর্ষতা বৃদ্ধি শাখা নামে একটি উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন গোষ্ঠী (সেল) তৈরি করা হয়েছে। উপরোক্ত প্রতিটি বিষয় দেখাশুনা করার জন্য একজন করে কেন্দ্রীয় আধিকারিক মনোনীত হয়েছেন। এই শাখার প্রধান হলেন উৎকর্ষতা বৃদ্ধি কর্মসূচি ব্যবস্থাপক (সি বি পি ম্যানেজার)।


৬। এই কর্মসূচির প্রত্যাশিত লাভ কী কী?
৬ বছর পর এই কর্মসূচি শেষ হলে আশা করা যায় :-


      

    সামাজিক লাভ :- যার মধ্যে রয়েছে আয়তন ও গ্রাহক সংখ্যার হিসাবে উৎকৃষ্ট পরিষেবার বর্ধিত এলাকা, নগর পরিকল্পনা ও পরিষেবা প্রদানে অধিকতর অংশগ্রহণ, দুর্নীতির সংকোচন, তথ্য আদান-প্রদানের ও ব্যবহারের এলাকা বৃদ্ধি এবং অধিকতর সুস্থিত কর ব্যবস্থা।

      

    পরিবেশগত লাভ :- যার মধ্যে রয়েছে রোগের বিপদ ও শব্দদূষণ কমে যাওয়া, উৎকৃষ্ট জল ও বায়ু, স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং রাস্তার কঠিন বর্জ্যের পরিমাণ কমে যাওয়া।

      

    প্রাতিষ্ঠানিক উন্নয়ন :- যার মধ্যে আছে কার্যকরী বিকেন্দ্রীকরণ, দরিদ্রদের আরও বেশী সংখ্যায় এর ছত্রছায়ায় নিয়ে আসা, মানব সম্পদের সঠিক ব্যবহার, দক্ষতা বৃদ্ধি এবং ভাবমূর্তির উন্নয়ন।

      

    আর্থিক সুস্থিতি :- যার মধ্যে রয়েছে রাজ্য সরকারি তহবিলের ওপর নির্ভরতা কমানো, কলকাতা পৌরসংস্থার রাজস্ব আয় বাড়ানো, বাইরের অর্থসম্পদ সংগ্রহ এবং বেসরকারি সংস্থার সাথে যৌথ উদ্যোগে সুলভ পরিষেবা প্রদান।

ইতিহাসের পুনরাবর্তন ঘটিয়ে – “পশ্চিমবঙ্গ আজ যা করছে, ভারত কালকে তা ভাববে”

 
উপরে