Official Website of Kolkata Municipal Corporation
   
۩   প্রথম পাতা
কলকাতার ঐতিহ্যশালী ভবন

ঐতিহ্যশালীভবনের মালিকদের জন্য নির্দেশিকা
| ... | |
 

ঙ) ঐতিহ্যশালী ভবনের ব্যবহারের প্রকৃতি পরিবর্তন -

ঐতিহ্যশালী ভবনের ব্যবহারের প্রকৃতি পরিবর্তনের ব্যাপারে ঐতিহ্য সংরক্ষণ কমিটি বিবেচনা করতে পারে।

 

চ) পরিচয়ফলক (সাইনেজ), বিজ্ঞাপন (হোর্ডিং) ইত্যাদি প্রদর্শনে নিয়ন্ত্রণ -

সাধারণভাবে ঐতিহ্যশালী ভবনের ওপর কোনোরকম পরিচয়ফলক বা বিজ্ঞাপন ইত্যাদি প্রদর্শনের অনুমতি দেওয়া হয় না। ঐতিহ্য সংরক্ষণ কমিটির অনুমোদন সাপেক্ষে অনুমতি পাওয়া যেতে পারে যদি এগুলি ভবনের দৃশ্যমানতাকে বাধাপ্রাপ্ত না করে এবং ভবনটির উপজীব্যতা ও মাহাত্ম্যের সাথে একাত্ম হয়।

 

ছ) মেরামতি/সংযোজন/পরিবর্তনের জন্য উপাদান ব্যবহারে বাধ্যবাধকতা -

সাবেককালের প্রচলিত উপাদান এবং নির্মাণ পদ্ধতি ব্যবহার করে মেরামতি/সংযোজন/পরিবর্তনের কাজ করতে হবে। কোনোরকম আধুনিক নির্মাণসামগ্রী ও পদ্ধতির ব্যবহারের ক্ষেত্রে সংরক্ষণ স্থপতির সুপারিশ সাপেক্ষে ঐতিহ্য সংরক্ষণ কমিটির অনুমোদন প্রয়োজন।

 

জ) ঐতিহ্যশালী ভবনের সুবিধা -

কোনো ঐতিহ্যশালী ভবন সঠিকভাবে সংরক্ষিত হলে তার বাজারদর বৃদ্ধি পায়। ঐতিহ্য সংরক্ষণ কমিটি ব্যবসায়িক সুবিধার জন্য ভবনটির মাহাত্ম্যের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ পুনর্ব্যবহারের বিবেচনা করতে পারে। কিছু কিছু বিশেষ ক্ষেত্রে কলকাতা পৌর আইনের ৪২৫(ট) ধারার অধীনে সম্পত্তি কর আংশিক/পূর্ণ ছাড় দেওয়া হয়

 

ঝ) অতিরিক্ত তথ্যের জন্য যোগাযোগ -

মহানির্দেশক (ডিরেক্টর জেনারেল)
প্রকল্প ব্যবস্থাপনা বিভাগ
৪৮, মার্কেট স্ট্রিট,
কলকাতা-৭০০০৮৭
দূরভাষ-২২৫২ ১৭২১

 

ঐতিহ্যশালী ভবনসমূহের সংরক্ষণ ও উন্নয়ন :

৪২৫ ক)

ঐতিহ্যশালী ভবনের মালিককে তার সংরক্ষণ ও উন্নয়ন করতে হবে : পৌরনিগম কর্তৃক ঘোষিত কোন ঐতিহ্যশালী ভবনের মালিক বা দখলকারীকে তা সংরক্ষণ এবং উন্নয়ন করতে হবে এবং এই আইনের অথবা তদাধীনে নিয়ম ও বিধি লঙ্ঘনে তার ব্যবহার কিংবা সংরক্ষণ অথবা উন্নয়ন পরিবর্তন করতে পারবেন না।

 
৪২৫ খ)

কোন ভবনকে ঐতিহ্যশালী ভবন হিসাবে ঘোষনা করতে পৌরনিগমের ক্ষমতা : যেক্ষেত্রে পৌরনিগমের, ঐতিহ্য সংরক্ষণ কমিটি এবং মেয়র পরিষদের সুপারিশবলে ধারণা হয় যে কলকাতার কোন ভবনের ঐতিহাসিক স্থাপত্য কিংবা পরিবেশগত অথবা কৃষ্টিজনিত কারণে সংরক্ষণ ও উন্নয়ন করা উচিৎ সেক্ষেত্রে সেই ভবনটিকে ঐতিহ্যশালী ভবন হিসাবে ঘোষণা করা হয় :
তবে শর্ত যে, ঐতিহ্য সংরক্ষণ কমিটি কিংবা মেয়র পরিষদের নিকট কোন ভবন ঐতিহ্যশালী ভবন ঘোষিত হবার যোগ্য কিনা বিবেচনাধীন থাকা কালে ঐরূপ ভবনের মালিক কিংবা ইজারাদার বা উপ-ইজারাদার, সেই ভবনটির ইজারা যাঁকে দেওয়া হয়েছে তিনি বা তাঁরা সেই ভবনটি অন্যকে বিক্রয়, বন্ধক, ইজারা দিতে চাইলে পৌর কমিশনারের আগাম অনুমতি প্রয়োজন।

 
৪২৫ গ)

ঐতিহ্যশালী ভবনের শ্রেনীবিভাগ : ঐতিহ্যশালী ভবনের ঐতিহাসিক, স্থাপত্য, পরিবেশগত অথবা কৃষ্টিজনিত উদ্দেশ্যে নির্ধারণক্রমে শ্রেণিবিভাগ করা যাবে।

 
৪২৫ ঘ) ঐতিহ্য সংরক্ষণ কমিটি :
  (১)

পৌর কমিশনারকে চেয়ারম্যান ও পৌরনিগমের একজন আধিকারিককে আহ্বায়ক করে মেয়র পরিষদ একটি পৌর সংরক্ষণ পর্ষদ গঠন করবেন।

  (২)

সেই কমিটিতে চেয়ারম্যান ও আহ্বায়ক ছাড়া আরও সাতজন সদস্য থাকবেন যাঁদের -

    (ক) একজন হবেন কলকাতা নগর উন্নয়ন সংস্থার মনোনীত;
    (খ) একজন হবেন পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের স্থাপত্য উন্নয়ন বিভাগের অধিকর্তা কিংবা তাঁর মনোনীত;
    (গ) একজন প্রখ্যাত স্থপতি;
    (ঘ) একজন কলাকার;
    (ঙ) একজন পরিবেশ বিশারদ;
    (চ) একজন ঐতিহাসিক; এবং
    (ছ) একজন পৌরনিগমের মুখ্য মূল্য নির্ধারক ও পরিমাপক।
  (৩)

রাজ্য সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের নিয়ন্ত্রণাধীন কোন ভূমি বা ভবনের ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে সেই বিভাগের মনোনীত সদস্যকে পর্ষদ গ্রহণ করতে পারবেন।

  (৪)

উক্ত পর্ষদ এই আইন ও তদাধীনে প্রণীত নিয়মাবলি ও বিধি অনুসরণে কোন ভবনকে ঐতিহ্যশালী ভবন হিসাবে ঘোষিত করার আবেদন বা প্রস্তাব পর্যালোচনা করে মেয়র পরিষদকে সেই ভবনটির উন্নয়ন ও সংরক্ষণের স্বার্থে ঐতিহ্যশালী ভবন গন্য করতে তাঁদের উপদেশ দেবেন।

  (৫) উক্ত পর্ষদ মেয়র পরিষদের নির্ধারিত সময়ের ব্যবধানে মিলিত হবেন।
  (৬)

জরুরি অবস্থায় পৌর কমিশনার উক্ত ঐতিহ্যশালী ভবনটির উপযুক্ত সংরক্ষণ ও উন্নয়নের স্বার্থে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে পারবেন, তবে সেই ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়টি ঐতিহ্য সংরক্ষণ কমিটির সভায় অনুমোদিত হতে হবে।

 
| ... | |