৪২৫ ঙ) |
ঐতিহ্য সংরক্ষণ কমিটির ক্ষমতা ও কার্যাবলি : ঐতিহ্য সংরক্ষণ কমিটি, পৌর ভবন কমিটির প্রভাব মুক্ত হয়ে স্বাধীনভাবে ঐতিহ্যশালী ভবনে উন্নয়ন মেরামতি ও সংরক্ষণের স্বার্থে এমনভাবে দায়িত্ব পালন করবেন যাতে তাঁদের কাজ কোনমতেই এই আইন বা তদাধীনে প্রণীত নিয়মাবলির আওতায় ভবন নির্মাণ কিংবা ব্যবহারের বিধানাদি লঙ্ঘিত না হয় :
শর্ত থাকে যে, কোন ঐতিহ্যশালী ভবন বা তার অংশবিশেষের নির্মাণ বা পুনর্নির্মাণ অথবা ঐতিহ্যশালী ভবনের সাবেক আকৃতি, প্রকৃতি কিংবা সুদৃশ্য পুনর্বহালের জন্য অবৈধ ধ্বংস বা কোন অভ্যন্তরীণ বা বাহ্যিক দেওয়াল, গঠনের ধরন, মেঝে, ছাদ, ভিতরের ও বাইরের স্থপতিগত মেঝে, সম্মুখভাগ, সীমারেখা, অথবা ঐতিহ্যশালী ভবনের অন্যান্য পরিবর্তনের জন্য এই আইনের দ্বাবিংশ, ত্রিবিংশ অধ্যায়ের বিধান ও এতদুদ্দেশ্যে প্রণীত নিয়মাবলি যেভাবে প্রযোজ্য হয় এক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। |
|
৪২৫ চ) |
ঐতিহ্যশালী ভবনে পৌরনিগমের ক্রয় করার বা ইজারা নেওয়ার ক্ষমতা : এই আইনের বিধানসমূহের সাপেক্ষে পৌরনিগম কোন ঐতিহ্যশালী ভবনের সংরক্ষণ ও উন্নয়নের স্বার্থে সেটি অধিগ্রহণ, ক্রয় কিংবা ইজারা নিতে পারবেন :
শর্ত থাকে যে, ১৯৭৯ সালের পশ্চিমবঙ্গ শহর এবং গ্রামীণ পরিকল্পনা ও উন্নয়ন আইনের (১৯৭৯ সালের পঃ বঃ আইন নং ৩০) ৩১ নং ধারার (৪) উপধারার (ক) অনুচ্ছেদের (২) নং উপ-অনুচ্ছেদ অনু্যায়ী কোন ঘোষিত ঐতিহ্যশালী ভবনের উন্নয়ন ও সংরক্ষণের জন্য রাজ্য সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের অনুমোদন নিতে হবে। |
|
৪২৫ ছ) |
চুক্তির মাধ্যমে অধিগ্রহণের উদ্দেশ্যে উন্নয়নের অধিকার হস্তান্তর : কোন ঐতিহ্যশালী ভবনের মালিক সেই ভবনটির উন্নয়ন ও সংরক্ষণ করতে অনিচ্ছুক হলে পৌর কমিশনার সেই ঐতিহ্যশালী ভবনটি অধিগ্রহণের উদ্দেশ্যে চুক্তির মাধ্যমে এবং ঐতিহ্য সংরক্ষণ কমিটির অনুমোদন এবং মেয়র পরিষদের অনুমোদন নিয়ে সেই ঐতিহ্যশালী ভবনটির উন্নয়নের কারণে উত্তরাধিকার ও হস্তান্তরের অধিকার যেটি সেই ভবনের মালিকের ছিল তৎসমুদয় যা পরে নির্ধারিত হবে সেই মর্মে চুক্তির মাধ্যমে হস্তান্তরের অনুমোদন দেবেন। |
|
৪২৫ জ) |
পৌরনিগমের অধিগৃহীত ঐতিহ্যশালী ভবনে প্রবেশাধিকার : এই আইনের অধীনে যে নিয়ম বা বিধি প্রণীত হবে তার সাপেক্ষে পৌরনিগমের অধিগৃহীত ঐতিহ্যশালী ভবনে প্রত্যেক ব্যক্তির প্রবেশাধিকার থাকবে। |
|
৪২৫ ঝ) |
ঐতিহ্যশালী ভবনের উপ-ইজারা : কোন ঐতিহ্যশালী ভবনের উন্নয়নের অধিকার যা ইজারাদারের উপর অর্পিত ছিল সেই অধিকারের উপ-ইজারা দিতে হলে ৯০ বৎসরের ইজারার যে সময় বাকি থাকে এবং ভবনের মালিক ও ইজারাদারের সম্পাদিত ইজারা দলিলে উপ-ইজারা দেবার অধিকার থাকে সেক্ষেত্রে পৌরনিগমের সেই উন্নয়নের অধিকার হস্তান্তরের জন্য ইজারাদারকে অনুমোদন দেবার ক্ষমতা থাকবে :
তবে শর্ত এই যে, মালিক ও ইজারাগ্রহীতার মধ্যে যাই চুক্তি থাকনা কেন সেক্ষেত্রে সেই উপ-ইজারা চুক্তিতে সমর্থনকারী পক্ষ হিসাবে তাঁর উপ-ইজারার জন্য নজরানা বা খাজনার অধিকার ত্যাগ করলে তাঁর কোন নজরানা বা খাজনার অধিকার থাকবে না। |
|
৪২৫ ঞ) |
ঐতিহ্যশালী ভবন অধিগ্রহণের পূর্বে রাজ্য সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের অনুমোদন : পৌরনিগম যেক্ষেত্রে কোন ভবনকে ১৯৭৯ সালের পশ্চিমবঙ্গ শহর ও গ্রামীণ (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) আইনের (৩১) নং ধারার (৪) নং উপধারার (ক) অনুচ্ছেদের (২) নং উপ-অনুচ্ছেদ অনু্যায়ী চুক্তির মাধ্যমে কিংবা ১৮৯৪ সালের ভূমি অধিগ্রহণ আইনের (১৮৯৪ সালের বঙ্গ আইন নং ১) বিধানমতে সংরক্ষণ ও উন্নয়নের উদ্দেশ্যে অধিগ্রহণ করা আবশ্যক মনে করেন সেক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের অনুমোদনক্রমেই করতে হবে। |
|
৪২৫ ট) |
ঐতিহ্যশালী ভবনের কর ও খাজনাদি মকুব করার ক্ষমতা : যদি কোন ঐতিহ্যশালী ভবনের মালিক নিজ খরচে কোন ঐতিহ্যশালী ভবন সংরক্ষণ ও উন্নয়নের জন্য পৌরনিগমের সাথে চুক্তিবদ্ধ হন সেক্ষেত্রে পৌরনিগম মনে করলে সেই ভবনের জল সরবরাহ বা অন্য কোন বিষয়ের জন্য প্রদেয় যাবতীয় কর, অভিকর, ফী সম্পূর্ণ কিংবা আংশিক মকুব করতে পারবেন। |
|
৪২৫ ঠ) |
অধিগ্রহণ সম্পন্ন হওয়ার পূর্বে ঐতিহ্যশালী ভবনের মালিকের সাথে চুক্তি : |
|
(১) |
এই আইনের বিধানে কোন ঐতিহ্যশালী ভবন পৌরনিগমের অধিগ্রহণ বিষয়টি বিবেচনাধীন থাকা অবস্থায় মেয়র পরিষদের অনুমোদনক্রমে পৌর কমিশনার সেই ঐতিহ্যশালী ভবনের মালিককে পৌরনিগমের সাথে নির্ধারিত সময়ের জন্য ঐতিহ্যশালী ভবনের সংরক্ষণের জন্য চুক্তিবদ্ধ হবার প্রস্তাব করতে পারবেন। |
|
(২) |
সেই চুক্তিতে নিম্নোক্ত বিষয়সমূহ বা যে কোনটি উল্লেখ থাকবে- |
|
|
(ক) |
উক্ত ঐতিহ্যশালী ভবনের মালিক বা অন্য কোন আগ্রহী ব্যক্তি কর্তৃক তার রক্ষণাবেক্ষণ; |
|
|
(খ) |
উপরোক্ত ঐতিহ্যশালী ভবনের হেফাজত এবং যিনি সেটি রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকবেন তাঁর কর্তব্য; |
|
|
(গ) |
মালিকের অধিকারের সীমাবদ্ধতা- |
|
|
|
(১) |
ঐতিহ্যশালী ভবনের উন্নয়নের পরিপন্থী কোন কাজ করা; |
|
|
|
(২) |
ঐতিহ্যশালী ভবনের প্রবেশের বা পরিদর্শনের ফী আরোপ করা এবং |
|
|
|
(৩) |
ঐতিহ্যশালী ভবনের সংলগ্ন বা সন্নিকটে কোন কিছু নির্মাণ করা। |
|
৪২৫ ড) |
স্বেচ্ছায় দান এবং স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা, ব্যক্তি কিংবা কোম্পানীর সঙ্গে চুক্তি : |
|
(১) |
পৌর কমিশনার ঐতিহ্যশালী ভবনের রক্ষণাবেক্ষণের খরচ হিসাবে স্বেচ্ছায় দান করা অর্থ গ্রহণ করতে ও সেই অর্থ ঐতিহ্যশালী ভবনের উন্নয়ন ও সংরক্ষণ উদ্দেশ্যে প্রয়োজনীয় আদেশ দিতে পারবেন। |
|
(২) |
মেয়র পরিষদের অনুমোদন সাপেক্ষে পৌর কমিশনারকে কোন ব্যক্তি অথবা স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা কিংবা কোন কোম্পানী, সেটি নিগমবদ্ধ হোক বা না হোক, যদি ঐতিহ্যশালী ভবনের সংরক্ষণ বা উন্নয়ন করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন সেক্ষেত্রে পৌর কমিশনার যেরূপ উপযুক্ত মনে করবেন সেভাবেই শর্তাদি সাপেক্ষে চুক্তি করতে পারবেন। |