৪২৫ ঢ) |
ঐতিহ্যশালী ভবনের ব্যবস্থাপনা ও নিয়ন্ত্রণ : |
|
(১) |
পৌর কমিশনার কোন তথ্য প্রাপ্তির পর যদি দেখেন যে, ঐতিহ্যশালী ভবনের মালিক সেটি সংরক্ষণ ও উন্নয়নে ব্যর্থ এবং সেই ঐতিহ্যশালী ভবনটি খালি আছে তাহলে সেই মালিকের বক্তব্য শুনে লিখিত আদেশ দ্বারা সেই ঐতিহ্যশালী ভবনের ব্যবস্থাপনা ও সংরক্ষণ এবং উন্নয়নের পরিকল্পনা গ্রহণ করতে পারবেন এবং ১৮৯৪ সালের ভূমি অধিগ্রহণ আইনের বিধানমতে অথবা চুক্তিবলে সেই ঐতিহ্যশালী ভবন অধিগৃহীত না হলে সর্বাধিক পাঁচ বৎসর পর্যন্ত সেই পুরাতত্ত্ব ভবনের মালিকের সেটি হস্তান্তরের ক্ষমতা স্থগিত থাকবে। |
|
(২) |
পৌর কমিশনার এরপর সেই ঐতিহ্যশালী ভবনটি কোন ব্যক্তিকে চুক্তি দ্বারা ভাড়াটিয়া হিসেবে ভাড়ায় দেবার বিষয়টি ঘোষণা করেন এবং ভাড়ায় বিলি করা হলে সেই ভবনের যে পরিমাণ স্বাভাবিক ভাড়া হতে পারে, তার থেকে সেই ভবনটির সংরক্ষণ ও উন্নয়নের বাবদ যে পরিমাণ খরচ খরচা হয় তা বাদ দিয়ে বাকি ভাড়া মালিকের প্রাপ্য হবে। |
|
৪২৫ ণ) |
কোন সময়ে ঐতিহ্যশালী ভবনটির ঐতিহ্যিক গুরুত্ব লুপ্ত বলে গণ্য হবে : পৌরনিগম যেক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নেন যে কোন ভবন ঐতিহ্যশালী ভবন হিসেবে গণস্বার্থের অথবা অন্য কোন কারণে স্বাভাবিক গুরুত্ব হারিয়েছে তাহলে রাজ্য সরকারের অনুমোদনক্রমে এই আইনের উদ্দেশ্যে সেটি ঐতিহ্যশালী ভবন নয় বলে ঘোষণা করতে পারবেন। |
|
৪২৫ ত) |
দণ্ড : |
|
(১) |
কোন ব্যক্তি ঐতিহ্যশালী ভবনকে এই অধ্যায়ের কোন বিধান অথবা তদাধীনে প্রণীত নিয়মাবলি অথবা বিধি ভঙ্গ করে ধ্বংস, অপসারণ, পরিবর্তন, বিকৃতি অথবা অপব্যবহার স্বয়ং কিংবা অন্যকে তদ্রূপ করার প্ররোচনা দিলে তাঁকে অনধিক তিন বৎসর সশ্রম কারাদণ্ড এবং অনধিক পঞ্চাশ হাজার টাকার জরিমানা বা তা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া যাবে। |
|
(২) |
কোন আদালত কোন ব্যক্তিকে এই ধারা মতে দোষী সাব্যস্ত করলে আদেশ দ্বারা সেই ব্যক্তিকে নিজের খরচে সেই ভবনটিকে পূর্ববর্তী অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে ও তার সৌন্দর্য বর্ধন করার নির্দেশ দেবেন এবং তিনি সেই আদেশ পালন না করলে ধরে নেওয়া হবে যে তিনি অপরাধটি করেই চলেছেন এবং সেক্ষেত্রে তিনি যতদিন সেই আদেশ পালন না করেন, নির্দেশিত তারিখ থেকে তাঁকে প্রতিদিনের অপরাধের জন্য দুইশত পঞ্চাশ টাকা হারে অতিরিক্ত জরিমানা করা যাবে। |
|
(৩) |
যেক্ষেত্রে কোন কোম্পানী এই ধারার বিধানে অপরাধী সাব্যস্ত হন সেক্ষেত্রে (৬১৯) নং ধারার বিধানগুলি প্রযোজ্য হবে। |