অ্যাগ্রি হরটিকালচার উদ্যান |
|
১৮২০ সালে উইলিয়াম কেরি এর প্রতিষ্ঠা করেন। এই প্রতিষ্ঠানে গাছ-গাছড়ার অসাধারণ সংগ্রহ সহ যারা বাগান করেন বা গাছপালা-ফলমূল ভালোবাসেন তাদের উৎসাহ ও সহযোগিতা দেওয়া হয়। আলিপুরে কলকাতার চিড়িয়াখানার গায়েই এর অবস্থান। কোনো প্রবেশমূল্য এতে লাগে না। সকাল সাতটা থেকে এগারোটা এবং দুপুর দেড়টা থেকে পাঁচটা পর্যন্ত খোলা থাকে। বৃহস্পতিবার পূর্ণ দিবস ও বুধবার বেলা এগারোটা পর্যন্ত বন্ধ থাকে। অফিস খোলা থাকে সকাল নটা থেকে দুপুর দেড়টা।
ঠিকানা: ন্যাশানাল লাইব্রেরির দক্ষিণে, আলিপুর
ফোন: ২৪৭৯ ১৭১৩
|
|
এনার্জি পার্ক |
|
WEBREDA এবং বিজ্ঞান, কারিগরি ও শক্তি দপ্তর প:ব: সরকারের যৌথ উদ্যোগে ২০০০ সালে চালু হয়। খোলা থাকে সকাল দশটা থেকে সন্ধে সাতটা অবধি।
ঠিকানা: ইস্টার্ন সাইড অফ ই.এম. বাই পাস সায়েন্স সিটির বিপরীতে |
|
নলবন বোটিং কমপ্লেক্স |
|
যারা শহরের কোলাহল থেকে দূরে অন্তত কিছুক্ষণের জন্য নির্জন সবুজের মধ্যে কাটাতে চান, তাদের জন্য এটি একটি সুন্দর জায়গা বা পিকনিক স্পট। এখানকার আকর্ষণগুলির মধ্যে পায়ে চালানো হালকা বোট, শিকারা বা হোভারক্রাফ্ট উল্লেখযোগ্য।
ঠিকানা: সেক্টর IV, সল্ট লেক সিটি, নিকো পার্কের নিকট ফোন: ২৩৫৭ ২৮৮৮ |
উপরে |
অ্যাকোয়াটিকা |
অ্যাকোয়াটিকার জল আপনার জন্য যেন দিগন্তবিস্তৃত এক সাগরের উত্তেজনা নিয়ে অপেক্ষমাণ। রোমহর্ষক ১০০ ফুট সুড়ঙ্গ যাত্রার উত্তেজনা অনুভব করুন টর্নেডোর মধ্যে ঝাঁপ দিয়ে। পাহাড়ি নদীর স্রোতে গা ভাসিয়ে উপভোগ করুন অকৃত্রিম প্রকৃতির অনাবিল আনন্দ। অনুভব করুন অ্যাকোয়াডান্স, আইল্যান্ড কাফে এবং আরো অনেক কিছুর আনন্দ।
ঠিকানা : কোচপুকুর, নিক্কো পার্ক থেকে গাড়িতে ১৫ মিনিট
ফোন : ২২২১৩৬২৬ / ২৭, ২২৪৯৩২৪৮, ৯৮৩০০২০৫২০
|
|
গিরীশ মঞ্চ |
|
বরেণ্য অভিনেতা ও নাট্যকার গিরীশচন্দ্র ঘোষের নামানুসারে এই প্রেক্ষাগৃহ প.ব. সরকারের তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের অধীন।
ঠিকানা: ৭৬/১ বাগ বাজার স্ট্রিট, কলকাতা-৭০০ ০০৩ ফোন: ২৫৫৪ ৪৮৯৫ |
|
|
নেচার স্টাডি পার্ক |
|
কনসার্ন ফর ক্যালকাটা নামে সিটিজেন অ্যাকশন গ্রুপ লাউডন স্ট্রিটের একটি পার্ক এবং জলাশয় অধিগ্রহণ করে তাকে একটি প্রকৃতি-পাঠের ক্ষেত্র হিসেবে গড়ে তুলেছে। এখানে ছোটরা গাছপালা চিনতে শেখে পরিবেশ পরিচয়ের সঙ্গে সঙ্গে। |
|
বনবীথি - (মনোহর দাস ট্যাঙ্ক) |
|
KMDA-এর একটি সৌন্দর্যায়ন প্রকল্প এই উদ্যান। ২০০০ সালে এটি চালু হয়। সবুজের স্নিগ্ধতার তৃপ্তি এখানে মেলে মর্মরমূর্তি আর ফোয়ারাগুলির সান্নিধ্যে।
ঠিকানা: কুইনস্ ওয়ে এবং জওহরলাল নেহরু রোডের সংযোগস্থলে। |
|
হরটিকালচার গার্ডেন |
|
১৮২০-তে উইলিয়াম কেরি প্রতিষ্ঠিত এই সংস্থায় আছে বিচিত্র গাছপালার সম্ভার আর সেই সঙ্গে দেওয়া হয় উদ্যান বা পুষ্প-প্রদর্শনীর জন্য উৎসাহ এবং সহযোগিতা।
ঠিকানা: আলিপুর চিড়িয়াখানার লাগোয়া, কলকাতা। |
|
নিক্কো পার্ক অ্যান্ড রিসর্টস |
|
কলকাতার প্রথম প্রমোদকানন এই পার্ক চালু হয় ১৯৯১-এ। সল্টলেকের এই বিনোদন পার্ককে পশ্চিমবঙ্গের ডিজনিল্যান্ড বলা চলে। যে কোনো বয়সের মানুষ এতে আসতে পারেন। এখানকার রাইডগুলি রোমাঞ্চকর। বাইরের খাওয়া নিয়ে যাওয়া নিষেধ তবে ভেতরে সবরকম স্বাদের খাবারের স্টল আছে। শীতকালে বেলা দশটা থেকে আটটা এবং বছরের বাকি সময়ে বেলা এগারোটা থেকে রাত নটা পর্যন্ত রোজ এই পার্ক খোলা থাকে।
ঠিকানা: সেক্টর IV, ঝিলমিল, কলকাতা-৯১ ফোন: ২৩৫৭ ৮১০১-০ |
|
|
বোটানিক্যাল গার্ডেন |
|
১৮৮৭ সালে হাওড়া জেলার শিবপুরে এটি চালু হয়। ভারতের সমস্ত বোটানিকাল গার্ডেনের মধ্যে এটি প্রচীনতম। ২৭০ একর জমি নিয়ে এর বিস্তৃতি। এর মধ্যে আছে প্রায় পঞ্চাশ হাজার গাছের সমারোহ। সবচেয়ে আকর্ষণীয় হল এক প্রাচীন বটগাছ, যা প্রায় ৪০৪ মিটার জায়গা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। এই বটগাছে ছশো কাণ্ড রয়েছে আর ১৫৭টি ঝুরি নেমেছে। এই বাগানে অসংখ্য অর্কিড এবং রঙিন ফুল আছে। লেক-এ আছে বোটিং-এর ব্যবস্থা। বটানি সংক্রান্ত বিরল বইপত্রের এক লাইব্রেরি আছে এখানে। সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত এটি খোলা থাকে। এর মুক্ত, নির্মল পরিবেশ প্রমোদভ্রমণের জন্য আদর্শ।
ঠিকানা: কলকাতা থেকে ৯ কিমি দূরে হুগলি নদীর পারে। ফোন: ২৬৬৮ ১৪৬৬ |
|
লাল দিঘি |
|
ডালহৌসি স্কোয়ার ট্যাঙ্ক, যার নাম লালদিঘি, তার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য নিয়ে টাউন প্ল্যানিং-এর নিদর্শন হিসেবে শহরের কেন্দ্রস্থলে বিরাজ করছে। এর চারপাশে ছবির মতো দৃশ্যময়তা নিয়ে অবস্থান করছে রাইটার্স বিল্ডিং, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক, জি.পি.ও, টেলিফোন ভবন। নামে দিঘি হলেও আসলে এটি একটি বড় পুকুর বই নয়। |
|
রবীন্দ্র সরোবর |
|
এটি একটি কৃত্রিম জলাশয়, যাতে দাঁড়টানা নৌকো চালানোর ক্লাব, বায়ুসেবনের বাগান, ছোটদের পার্ক, সাঁতারের ক্লাব ছাড়াও একটি মুক্তমঞ্চ (নজরুল মঞ্চ) এবং একটি স্টেডিয়াম আছে। |
|
কলকাতা ময়দান |
|
বৃটিশ কলকাতার সবচেয়ে পরিদৃশ্যমান নিদর্শন এই ময়দান। মজার ব্যাপার হল, প্রকৃতপক্ষে ফোর্ট উইলিয়ামের চাঁদমারি ও মহড়া যুদ্ধের জন্য তৈরি এই মাঠ আজ ব্যবহৃত হয় বিশ্রাম ও দম নেওয়ার জায়গা হিসেবে। এটি এখন ভবঘুরে, বাজিগর ও ফেরিওয়ালাদের কেরামতির জায়গা। এখান থেকে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল, রেড রোড, শহিদ মিনার প্রভৃতির দৃশ্য অতি মনোরম। |
উপরে |
মঙ্গল পাণ্ডে পার্ক |
|
ব্যারাকপুরে যেখানে সিপাহি মঙ্গল পাণ্ডের বিদ্রোহাত্মক কীর্তি গোটা দেশে আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছিল ১৮৫৭-য় এবং যেস্থানে তাঁর ফাঁসি হয়েছিল, গঙ্গার তীরে সেই স্থানে আজও তাঁকে স্মরণ করা হয়। এটি একটি সুন্দর পিকনিক স্পটও বটে। ট্রেনে করে শিয়ালদহ স্টেশন থেকে খুব সহজেই এখানে আসা যায়।
ঠিকানা : ব্যারাক রোড, ব্যারাকপুর |
|
রবীন্দ্র সদন/নন্দন |
|
বাংলার সংস্কৃতির পীঠস্থান রবীন্দ্রসদন। এখানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বা প্রদর্শনী নিয়মিত হয়। পাশেই কলকাতার প্রধান চলচ্চিত্রচর্চাকেন্দ্র নন্দন থিয়েটার হল। নন্দন চলচ্চিত্র অনুরাগী আর পেশাদারদের পক্ষে উপযোগী এক ভাণ্ডার। এটির প্রতি প্রয়াত সত্যজিৎ রায়ের খুবই অনুরাগ ছিল। তিনিই এর দ্বারোদ্ঘাটন করেন এবং এর এমব্লেমটি রচনা করেন। এর তিনখানি প্রেক্ষাগৃহই আধুনিক সাজ-সরঞ্জামে চলচ্চিত্র প্রদর্শনের উপযুক্ত। এদের মধ্যে একটি ফিল্ম ক্লাবগুলির দ্বারা সমান্তরাল সিনেমা বা আর্ট ফিল্ম প্রদর্শনের জন্য নির্দিষ্ট।
ঠিকানা: ক্যাথিড্রাল রোড, কলকাতা-২০ ফোন: ২২২৩ ৯৯৩৬/৯৯১৭ |
|
ইডেন গার্ডেন |
|
একলক্ষ দর্শকাসন বিশিষ্ট ভুবনবিখ্যাত খোলা স্টেডিয়াম। এটি পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ক্রিকেট-স্টেডিয়াম। এর সন্নিহিত বিস্তীর্ণ এলাকা সুন্দর সুন্দর গাছ ও ঝোপের মধ্য দিয়ে আঁকাবাঁকা পথ বিশিষ্ট। |
|
মিলেনিয়াম পার্ক |
|
১৯৯৯ সালের পক্ষ থেকে এটি সহস্রাব্দের উপহার। গঙ্গার তীরে সুমিষ্ট শীতল এবং টাটকা হাওয়া সপরিবারে বা সবান্ধবে উপভোগ করার জায়গা। রোজ বেলা একটা থেকে সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত খোলা থাকে। |
উপরে |
সায়েন্স সিটি |
|
কলকাতার ইস্টার্ন মেট্রোপলিটান বাইপাসের ধারে অবস্থিত এই স্থান যেকোনো বয়সী মানুষের কাছে শিক্ষা ও বিনোদনের পক্ষে উপযুক্ত। একবিংশ শতকের বিজ্ঞান, সংযোগ আর পরিবেশের এমন অনবদ্য কেন্দ্র ভূ-ভারতে নেই। সভাকক্ষটির আসনসংখ্যা ২২১৫। এছাড়াও আছে মূল অডিটোরিয়াম আর ছোট অডিটোরিয়াম। আছে ৮ খানি সেমিনার হল, যেগুলি পুরোপুরি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত এবং অত্যাধুনিক অডিও-ভিসুয়ালে সজ্জিত। সায়েন্স সিটি কলকাতার গৌরব। এটি পরবর্তী শতাব্দীর সিংহদ্বার। রোজ সকাল নটা থেকে রাত নটা পর্যন্ত খোলা থাকে, এমনকী ছুটির দিনেও।
ঠিকানা: ই এম বাইপাস, জে.বি.এস. হেডেন অ্যাভিনিউ, কলকাতা-৪৬ ফোন: ২৩৪৩ ৪৩৪৩/২৬০৭ |
|
স্বভূমি - একটি ঐতিহ্যবাহী উদ্যান। |
|
ঠিকানা: ইস্টার্ন মেট্রোপলিটান বাইপাস, ৮৯ মৌলানা আবুল কালাম আজাদ সরণি, কলকাতা-৭০০ ০৫৪ ফোন: ২৩২১ ৫৪৮৬ ২৩৩৪ ৩৯০৩ |
|
জুলজিক্যাল গার্ডেন |
|
ভারতের বড় বড় ও সুন্দর চিড়িয়াখানাগুলির অন্যতম কলকাতার চিড়িয়াখানা। এটি জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত সেই ১৮৭০ সাল থেকে। এর মধ্যে আছে নানান প্রজাতির জীবজন্তু, পাখি এবং বিরল শ্রেণির প্রাণী। এর মূল আকর্ষণ, ‘সাদা বাঘ’ নামে প্রায় অবলুপ্ত এক ব্যাঘ্রপ্রজাতি। এর মধ্যে ছোটদের জন্য চিড়িয়াখানা এবং রাস্তার উলটোদিকে একটি আলাদা অ্যাকোয়ারিয়ামও আছে।
ঠিকানা: আলিপুর, ন্যাশানাল লাইব্রেরির বিপরীতে। ফোন- ২৪৭৯ ১১৫০ |
|
যুব ভারতী ক্রীড়াঙ্গন |
|
এটি একটি খোলা স্টেডিয়াম, যা সল্টলেক স্টেডিয়াম নামে খ্যাত। ১৯৮৫-তে এর উদ্বোধন হয়। পৃথিবীর প্রথম দশটি বড় স্টেডিয়ামের অন্যতম এই ক্রীড়াঙ্গন এশিয়ার মধ্যে সর্ববৃহৎ। এর দর্শকাসন সংখ্যা এক লক্ষ পঁচিশ হাজার।
ঠিকানা: ই.এম.বাইপাস, সল্টলেক সিটি |
|
|
|
|
(এই ওয়েবসাইটের পাঠকদের সমস্ত ফোন নম্বর এবং অন্যান্য তথ্য যাচাই করে নিতে অনুরোধ করা হচ্ছে। কেএমসিগভ.ইন কোনোরকম তথ্য ভ্রান্তির জন্য দায়ি নয়।) |