Official Website of Kolkata Municipal Corporation
   
۩   প্রথম পাতা
বিল্ডিং বিভাগ :: কয়েকটি প্রাথমিক প্রশ্নোত্তর
১। বিল্ডিং বিভাগের প্রধান কাজগুলি কী কী?
২। বাড়ি সংক্রান্ত (ইমারতি) কোন কোন কাজ করতে গেলে বিল্ডিং বিভাগের অনুমতির প্রয়োজন হয় না?
৩। বাড়ি ভেঙে ফেলার জন্য কলকাতা পৌরসংস্থার অনুমোদনের প্রয়োজন আছে কি?
৪। বাড়ি সংক্রান্ত (ইমারতি) কোন কোন কাজ করতে গেলে বিল্ডিং বিভাগের অনুমতির প্রয়োজন হয়?
৫। বিনা অনুমোদনে উপরোক্ত নির্মাণ কাজগুলি করলে তার ফল কী হতে পারে?
৬। বিল্ডিং বিভাগের অনুমোদন পাওয়ার জন্য কী আবেদনপত্র পূরণ করতে হবে এবং কী কী নথিপত্র জমা দিতে হবে?
৭। অনুমোদন ছাড়া অ্যাসবেস্টস চাদর বা ওই ধরনের উপকরণ দিয়ে বাড়ি তৈরি করা কি বৈধ?
৮। বাড়ি তৈরির উপকরণ ব্যবহার সম্পর্কে কোনো নিয়ম আছে কি?
৯। বাড়ির নকশা (প্ল্যান) অনুমোদনের জন্য প্রদেয় টাকার (স্যাঙ্কশন ফি) পরিমাণ নির্ধারণ করার জন্য বিবেচ্য বিষয়গুলি কী কী?
১০। বাড়ির নকশা (প্ল্যান) অনুমোদনের জন্য কোন কোন বিভাগ/সংস্থা থেকে আপত্তি নেই শংসাপত্র (এন ও সি) সংগ্রহ করা প্রয়োজন? এই শংসাপত্রের প্রয়োজনীয়তা কী?
১১। কোন কোন ক্ষেত্রে নকশা (প্ল্যান) অনুমোদনের পূর্বে পৌরনির্মাণ কমিটির (এম বি সি) অনুমোদন নেওয়া হয়?
১২। নির্মাণ কাজ বা মেরামতি কাজের জন্য ইমারতি দ্রব্য ফুটপাথে জমা করে রাখতে হলে কি অনুমতি নেওয়া প্রয়োজন? যদি প্রয়োজন হয় তাহলে কে এই অনুমতি দেবেন?
১৩। নির্মাণ কাজের জন্য ফুটপাথে ভারা বা মাচান বাঁধতে কি অনুমতির প্রয়োজন হয়?
১৪। নির্মাণ বা মেরামতি কাজের জন্য জল ব্যবহার করতে কি অনুমতির প্রয়োজন হয়?
১৫। বাড়ি তৈরির নকশা (প্ল্যান) অনুমোদনের পর নির্মাণ কাজ শুরু বা শেষ করার জন্য কতদিন সময় পাওয়া যায়?
১৬। নির্মাণ কাজ শেষ করার জন্য বৈধতার সময়কাল বৃদ্ধি করতে হলে কী করণীয়?
১৭। নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার পর কলকাতা পৌরসংস্থাকে কোনোরকম নথি সরবরাহ করতে হয় কি?
১৮। যদি আমার অঞ্চলে কোনো ভগ্নদশাগ্রস্ত বাড়ি থাকে তাহলে নাগরিক হিসেবে আমার করণীয় কী?


১। বিল্ডিং বিভাগের প্রধান কাজগুলি কী কী?

এই বিভাগের প্রধান কাজগুলি হল :-
ক) নতুন বাড়ি তৈরির জন্য অনুমোদন দেওয়া।
খ) পুরানো বাড়ির সংস্কার/ পরিবর্তন/ সম্প্রসারণের জন্য পৌরসংস্থার পক্ষ থেকে অনুমোদন দেওয়া।
গ) অনুমোদন ছাড়া বাড়ি তৈরি বন্ধ করা।
ঘ) অননুমোদিত বাড়ি ভেঙে দেওয়া।
ঙ) পৌরআইন অনুসারে জরিমানা আদায় করে অননুমোদিত বাড়িকে স্বীকৃতি দেওয়া।
চ) ঐতিহ্যশালী ভবন ধ্বংস প্রতিরোধ করা।
ছ) শহরের সমস্ত বাড়ির একপ্রস্থ (কপি) অনুমোদিত নকশা (প্ল্যান) সংরক্ষিত রাখা এবং পরবর্তীকালে প্রয়োজনে আবেদনকারীকে ঐ নকশার (প্ল্যান) নকল সরবরাহ করা।
জ) বিপজ্জনক বাড়ির অস্তিত্ব বজায় রাখার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া।
ঝ) আর টি আই অ্যাক্টের অধীনে গৃহীত আবেদনপত্রের ব্যবস্থাপনা।


২। বাড়ি সংক্রান্ত (ইমারতি) কোন কোন কাজ করতে গেলে বিল্ডিং বিভাগের অনুমতির প্রয়োজন হয় না?

অনুগ্রহ করে ২০০৯ এর কে এম সি বিল্ডিং রুলের ৩(২) নং রুল দেখুন।


৩। বাড়ি ভেঙে ফেলার জন্য কলকাতা পৌরসংস্থার অনুমোদনের প্রয়োজন আছে কি?

ঐতিহ্যশালী ভবনের ক্ষেত্রে ঐতিহ্য সংরক্ষণ কমিটির অনুমোদন প্রয়োজন। কিন্তু ঐতিহ্যশালী ভবন না হলে কোনো রকম অনুমোদনের প্রয়োজন নেই। যদিও বিষয়টি চিঠির মাধ্যমে পৌর মহাধ্যক্ষের গোচরে আনা প্রয়োজন। এই বিষয়টিও সুনিশ্চিত করা দরকার যে, বাড়িটি ভেঙে ফেলার কাজ কোনো একজন নথিভুক্ত স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ারের তত্ত্বাবধানে হচ্ছে।

উপরে


৪। বাড়ি সংক্রান্ত (ইমারতি) কোন কোন কাজ করতে গেলে পৌর নির্মাণ বিভাগের অনুমতির প্রয়োজন হয়?

নিম্নলিখিত ক্ষেত্রগুলিতে বাড়ি সংক্রান্ত (ইমারতি) কাজ করতে গেলে বিল্ডিং বিভাগের অনুমতির প্রয়োজন হয়
ক) নতুন বাড়ি নির্মাণ করা।
খ) পূর্বে নির্মিত বাড়ির সংযোজন বা পরিবর্তন করা।
গ) কোনো বাড়ির কাঠামো ভেঙে পড়লে, পুড়ে গেলে বা ধ্বংস হয়ে গেলে তার পুনর্নির্মাণ।
ঘ) পূর্বে নির্মিত বাড়ির ব্যবহারের ধরন পরিবর্তন করা।
ঙ) পূর্বে নির্মিত ছাদের পুনর্নির্মাণ।
চ) যে কোনো রকম কাঠামোগত পরিবর্তন।
ছ) প্রধান সিঁড়ির পুনর্নির্মাণ, স্থানবদল বা অবলুপ্তি।
জ) নতুন লিফট্‌ বসানো।
ঝ) বাড়ির বাইরের দিকে যে কোনো দরজা বা জানালা স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেওয়া।


৫। বিনা অনুমোদনে উপরোক্ত নির্মাণ কাজগুলি করলে তার ফল কি হতে পারে?

কলকাতা পৌরসংস্থা এটি সুনিশ্চিত করার ব্যাপারে অত্যন্ত দৃঢ় যে, কলকাতার প্রতিটি বাড়ি যথাযথ অনুমোদন সাপেক্ষে নির্মিত হবে। তাই, অননুমোদিত বাড়ির ক্ষেত্রে পৌরসংস্থা পুলিশকে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করার জন্য অনুরোধ করতে পারে। এমনকি কোনো শুনানির সুযোগ না দিয়ে পৌরসংস্থা অননুমোদিত বাড়ি বা তার অংশবিশেষ ভেঙে ফেলতে পারে।

উপরে


৬। বিল্ডিং বিভাগের অনুমোদন পাওয়ার জন্য কী আবেদনপত্র পূরণ করতে হবে এবং কী কী নথিপত্র জমা দিতে হবে?

এখানে ক্লিক করুন।

উপরে


৭। অনুমোদন ছাড়া অ্যাসবেস্টস চাদর বা ওই ধরনের উপকরণ দিয়ে বাড়ি তৈরি করা কি বৈধ?

না, পৌরসংস্থার অনুমোদন ছাড়া এই ধরনের নির্মাণ বৈধ নয়।


৮। বাড়ি তৈরির উপকরণ ব্যবহার সম্পর্কে কোনো নিয়ম আছে কি?

না, সেরকম কোনো নিদির্ষ্ট নিয়ম নেই, কিন্তু উপকরণ ব্যবহারের ক্ষেত্রে এন বি সি বিধি মেনে চলা বাঞ্ছনীয়।


৯। বাড়ির নকশা (প্ল্যান) অনুমোদনের জন্য প্রদেয় টাকার (স্যাংশান ফি) পরিমাণ নির্ধারণ করার জন্য বিবেচ্য বিষয়গুলি কী কী?

এখানে ক্লিক করুন।


১০। বাড়ির নকশা (প্ল্যান) অনুমোদনের জন্য কোন কোন বিভাগ/সংস্থা থেকে আপত্তি নেই শংসাপত্র (এন ও সি) সংগ্রহ করা প্রয়োজন? এই শংসাপত্রের প্রয়োজনীয়তা কী?

অনুগ্রহ করে ২০০৯ এর কে এম সি বিল্ডিং রুলের ৪ নং রুল দেখুন। অন্যান্য তথ্য এল বি এস মারফত পাওয়া যেতে পারে।

উপরে


১১। কোন কোন ক্ষেত্রে নকশা (প্ল্যান) অনুমোদনের পূর্বে পৌর নির্মাণ কমিটির (এম বি সি) অনুমোদন নেওয়া হয়?

অনুগ্রহ করে ২০০৯ এর কে এম সি বিল্ডিং রুলের ৩৮ নং রুল দেখুন।


১২। নির্মাণকাজ বা মেরামতি কাজের জন্য ইমারতি দ্রব্য ফুটপাথে জমা করে রাখতে হলে কি অনুমতি নেওয়া প্রয়োজন? যদি প্রয়োজন হয় তাহলে কে এই অনুমতি দেবেন?

হ্যাঁ, অনুমতি নিতে হবে এবং জঞ্জাল সাফাই (কনজারভেন্সি) বিভাগ এই অনুমতি দেবেন। এই বিষয়ে ওয়ার্ড অফিস বা বরো অফিসে যোগাযোগ করতে পারেন।


১৩। নির্মাণ কাজের জন্য ফুটপাথে ভারা বা মাচান বাঁধতে কি অনুমতির প্রয়োজন হয়?

হ্যাঁ, অনুমতি নিতে হবে এবং জঞ্জাল সাফাই (কনজারভেন্সি) বিভাগ এই অনুমতি দেবেন। এই বিষয়ে ওয়ার্ড অফিস বা বরো অফিসে যোগাযোগ করতে পারেন।


১৪। নির্মাণ বা মেরামতি কাজের জন্য জল ব্যবহার করতে কি অনুমতির প্রয়োজন হয়?

হ্যাঁ, পৌরসংস্থার জলসরবরাহ বিভাগের কাছ থেকে এই অনুমতি নিতে হবে এবং জলের জন্য নির্ধারিত মূল্য জমা দিতে হবে।

উপরে


১৫। বাড়ি তৈরির নকশা (প্ল্যান) অনুমোদনের পর নির্মাণ কাজ শুরু বা শেষ করার জন্য কতদিন সময় পাওয়া যায়?

নকশা অনুমোদনের ২ বছরের মধ্যে নির্মাণ কাজ শুরু করতে হবে এবং নকশা (প্ল্যান) অনুমোদনের ৫ বছরের মধ্যে নির্মাণ কাজ শেষ করতে হবে।


১৬। নির্মাণ কাজ শেষ করার জন্য বৈধতার সময়কাল বৃদ্ধি করতে হলে কী করণীয়?

নির্মাণ কাজ শেষ করার জন্য বৈধতার সময়কাল বৃদ্ধি করার আবেদনের সঙ্গে নিম্নলিখিত নথিগুলি সরবরাহ করতে হবে :
ক) যথোপযুক্ত কারণ বর্ণিত আবেদনপত্র।
খ) সাম্প্রতিক সম্পত্তির প্রদানের প্রমাণ সম্বলিত রসিদের অনুলিপি।
গ) নির্মাণ কাজের শেষ হওয়া অংশটুকু সংশ্লিষ্ট এল বি এস (আর্কিটেক্ট) অনুমোদিত নকশা (প্ল্যান) অনুযায়ী হয়েছে ওই মর্মে এবং নথিভুক্ত স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ার-এর শংসাপত্র। কাঠামোগত স্থায়িত্ব সুনিশ্চিত করাই এই ব্যবস্থার মূল উদ্দেশ্য।
ঘ) নির্মাণ কাজ শুরুর নোটিশ।
ঙ) বাড়ির অনুমোদিত নকশার (প্ল্যান) অনুলিপি।

উপরে


১৭। নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার পর কলকাতা পৌরসংস্থাকে কোনোরকম নথি সরবরাহ করতে হয় কি?

অনুগ্রহ করে ২০০৯ এর কে এম সি বিল্ডিং রুলের ২৭ নং রুল দেখুন।


১৮। যদি আমার অঞ্চলে কোনো ভগ্নদশাগ্রস্ত বাড়ি থাকে তাহলে নাগরিক হিসেবে আমার করণীয় কী?

ভগ্নদশাগ্রস্ত বাড়ি সম্পর্কে তথ্য জানানোর জন্য কলকাতা পৌরসংস্থা দায়িত্বশীল নাগরিকদের আহ্বান করে। এরকম তথ্য জানানোর জন্য ডি জি (বিল্ডিং), ডেপুটি চিফ ইঞ্জিনিয়ার, বরো এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ারের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।

উপরে