Official Website of Kolkata Municipal Corporation
۩   প্রথম পাতা

অন্যান্য উল্লেখযোগ্য স্থানসমূহ



কলকাতায় জীবন কখনও থেমে থাকে না। বছরের যে কোনো সময়ে কিছু না কিছু ঘটছেই। উৎসব, মেলা, খেলাধুলো, প্রদর্শনী, সঙ্গীতানুষ্ঠান এমনকী মিটিং-মিছিল প্রতিবাদ। কারও কারও চোখে কলকাতা হল আনন্দনগরী, আবার কারও শুধু চোখে পড়ে নোংরা, ভিড় আর কোলাহল।
 
 
  বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ বাংলা একাডেমি বি বা দী বাগ / ডালহৌসি  
  বিড়লা তারামণ্ডল বসু বিজ্ঞান মন্দির কলকাতা তথ্যকেন্দ্র  
  কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কফি হাউস রাইটার্স বিল্ডিং  
  ফোর্ট উইলিয়াম হেস্টিংস হাউস রবীন্দ্র সেতু (হাওড়া ব্রিজ)  
  যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কুমারটুলি বিধানসভা ভবন  
  লোরেটো হাউস মেট্রো রেলওয়ে নন্দন  
  রাজভবন বিদ্যাসাগর সেতু    
 
 
বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ
মানিকতলার কাছে অবস্থিত এটি একমাত্র গ্রন্থাগার যেখানে সংরক্ষিত আছে বাংলার প্রাচীন পুঁথি। বৃহস্পতিবার ছাড়া রোজ বেলা ১টা থেকে সন্ধে ৭টা অবধি এটি খোলা থাকে।

ঠিকানা: ২৪৩/১, আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রোড, কলকাতা-৭০০০০৬
ফোন: ২৩৫০ ৩৭৪৩
 
বাংলা একাডেমি
বাংলাভাষা ও সাহিত্যের এই চর্চাকেন্দ্রে আছে এক নির্ভরযোগ্য গ্রন্থাগার আর সেইসঙ্গে সেমিনার হল।

ঠিকানা: ১/১, আচার্য জগদীশচন্দ্র বোস রোড, কলকাতা-৭০০০২০
ফোন: ২২২৩ ৯৯৭৮/০৯৫৬/১৯৮৫
 
বি বা দী বাগ / ডালহৌসি

একদা ভারতে ব্রিটিশ প্রশাসনের কেন্দ্রবিন্দুর নতুন করে নামকরণ হয় তিন নির্ভীক বিপ্লবী শহিদ বিনয়, বাদল ও দিনেশ-এর নামে। এটি একটি চারকোনা জায়গা যা ঘিরে রেখেছে পুরনো লালদিঘি নামে জলাশয় যা প্রথমে ট্যাঙ্ক স্কোয়ার ও পরে ডালহৌসি স্কোয়ার নামে পরিচিত ছিল। আজও এইস্থান কলকাতার প্রাণকেন্দ্র। অজস্র বিখ্যাত বাড়ি, গুরুত্বপূর্ণ দপ্তর, ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান আর ব্যাঙ্ক দাঁড়িয়ে আছে এর চারপাশে।

এর দক্ষিণ দিকে রাজভবন (রাজ্যপালের সরকারি বাসভবন) তৈরি হয়েছে জর্জিয়ান স্থাপত্যকলায়। এরই কাছে বিধানসভা ভবন, গথিক স্থাপত্যের অনুপম নিদর্শন। তাছাড়া আছে সেন্ট জন্‌স্‌ গির্জা যা কলকাতার গির্জাগুলির মধ্যে প্রাচীনতম। এর অভ্যন্তরে আছে কলকাতার প্রতিষ্ঠাতা জোব চার্ণকের সমাধিসৌধ। এর উত্তরপাড়ে অবস্থিত মহাকরণ (রাইটার্স বিল্ডিং) গথিক স্থাপত্যের এক মস্ত উদাহরণ, যার অভ্যন্তরে আছে রাজ্য সরকারি সচিবালয়।

উপরে
বিড়লা তারামণ্ডল
আধুনিক কলকাতার দর্শনীয় আকর্ষণ। বিভিন্ন ভাষায় দেওয়া বিবরণীসহ রোজ এখানে জ্যোতির্বিজ্ঞানের নানান প্রদর্শনী চালু থাকে। গোলকাকৃতি একতলার এই তারামণ্ডলের অনবদ্য স্থাপত্যশিল্পে বৌদ্ধবিহার সাঁচীস্তূপের প্রভাব লক্ষণীয়। এর পরিধি ৮২ ফুট। এখানে মহাকাশ ও সৌরজগতের নানান প্রহেলিকা দেখানো হয়। পাঁচশো মানুষ একত্রে তা আস্বাদন করতে পারে।

ঠিকানা: ৯৬, জওহরলাল নেহরু রোড, কলকাতা-৭১
ফোন: ২২২৩ ১৫১৬/৬৬১০
 
বসু বিজ্ঞান মন্দির
এটি দেশের একটি অগ্রণী প্রতিষ্ঠান যার মূল লক্ষ্যই হল বৈজ্ঞানিক গবেষণা আর জ্ঞানের বিচ্ছুরণ। বিগত ৭৫ বছর ধরে এই প্রতিষ্ঠান বিজ্ঞান ও কারিগরি অগ্রগতির চর্চা করে চলেছে আর সেইসঙ্গে উপহার দিয়ে চলেছে দক্ষ ও পারঙ্গম মানবসম্পদ, যা দেশের উন্নতির জন্য অপরিহার্য। প্রয়াত স্যার জগদীশচন্দ্র বসু ১৯১৭ সালে এটি প্রতিষ্ঠা করেন।

ঠিকানা: ৯৩/১, এ.পি.সি. রোড, কলকাতা
ফোন: ২৩৩৪ ২৪০৩/০২
 
কলকাতা তথ্যকেন্দ্র
কলকাতা তথা পশ্চিমবঙ্গ সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্যের আধার এই সংস্থা। এটি একটি সাংস্কৃতিক কেন্দ্রও বটে এবং এখানে রয়েছে একটি প্রেক্ষাগৃহ (শিশির মঞ্চ) ও একটি প্রদর্শনী কক্ষ (গগনেন্দ্রপ্রদর্শনশালা)।

ঠিকানা: ১/১, এ.জে.সি.বোস রোড। কলকাতা-২০
ফোন:২২২৩ ২৪৫১/৪২১৪
 
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়

এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা ২৪ জানুয়ারি, ১৮৫৪ সালে। লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের ধারায় এর সূত্রপাত হলেও ধীরে ধীরে এর গঠনতন্ত্রে বহু পরিবর্তন এসেছে। বর্তমানে এটি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় আইন ১৯৭৯ মোতাবেক পরিচালিত হয় যার মাধ্যমে এটি গঠনতন্ত্রে যে কোনো পরিমার্জন করতে পারে যাতে অধিকতর দক্ষতার সঙ্গে শিক্ষার বিভিন্ন ক্ষেত্রে ও শাখায় সমাজের জন্য প্রয়োজন অনুসারে অনুশীলন ও চর্চা চলতে পারে। এই আইন অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যই হলেন শিক্ষা ও প্রশাসনের প্রধান।

ঠিকানা: কলেজ স্ট্রিট
ফোন: ২২৪১ ০০৭১-৭৮/৪৯৮৪-৯০

 
কফি হাউস
এটি কলেজ স্ট্রিটের মর্মস্থলে অবস্থিত যেখানে প্রখ্যাত সব বুদ্ধিজীবিরা ঘন্টার পর ঘন্টা এক কাপ কফি নিয়ে আড্ডা জমান। পূর্বে অ্যালবার্ট হল নামে পরিচিত এই হলঘর বহু ঐতিহাসিক সভা বা জমায়েতের সাক্ষী।

অবস্থান : কলেজ স্ট্রিট
 
রাইটার্স বিল্ডিং
বর্তমানে রাজ্য সরকারি সচিবালয়। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কর্মচারীদের (জুনিয়র রাইটার বা করণিক) আবাসস্থল হিসেবে তৎকালীন সময়ে নির্মিত। প্রাচীন বাড়িটি বর্তমান স্থানেই ১৭৭০ সালে তৈরি হয়, কিন্তু সেটি ছিল অতি সাধারণ মানের। বর্তমান গথিক স্থাপত্য সমৃদ্ধ ভবনটি তৈরি হয় পুরনো বাড়িটির আমূল পরিবর্তন ঘটিয়ে। সময়টা ছিল লেফটেন্যান্ট অ্যাসলে ইডেনের শাসনকালে (১৮৭৭-১৮৮২)। ডালহৌসি স্কোয়ারের উত্তরপ্রান্তে অবস্থিত বাড়িটি বর্তমানে রাজ্য সরকারের প্রশাসনিক কেন্দ্র।

অবস্থান: বি.বা.দী.বাগ।
ফোন:২২৩৫ ৫৬০১/৩৩৭১
 
ফোর্ট উইলিয়াম
ইংল্যান্ডের রাজা তৃতীয় উইলিয়ামের নামে নামাঙ্কিত এই দুর্গ ভারতীয় সেনাবাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় প্রধানকেন্দ্র। গঙ্গার পশ্চিমপাড়ে এর জমকালো অধিষ্ঠান রেড রোডের পশ্চিমপ্রান্ত থেকে বিস্তৃত। এর অভ্যন্তরে আছে সেন্ট পিটারের গির্জা যেটি স্থাপিত হয় ১৯২৮-এ। এছাড়া আছে সুইমিং পুল, বক্সিং স্টেডিয়াম, ফায়ারিং রেঞ্জ ইত্যাদির আয়োজন। এতে দশ হাজার আবাসিকের থাকার ব্যবস্থা আছে। এর বিশাল খিলানযুক্ত দরজাগুলির অন্যতম ‘পলাশি দরজা’। বিশ্বের মধ্যে সম্ভবত এটি একমাত্র দুর্গ যেখান থেকে কোনোদিনও একটি গোলা বা গুলি ছোঁড়া হয়নি।

অবস্থান: রেড রোড।
 
হেস্টিংস হাউস
বর্তমানে শিক্ষিকা-শিক্ষণ বিদ্যালয়।

ঠিকানা:
 
রবীন্দ্র সেতু
সাধারণভাবে ‘হাওড়া ব্রিজ’ নামেই বিখ্যাত। এর দুই পাড়ের স্তম্ভগুলি ঝুলন্ত খিলান আর কড়ি সংবলিত। রবীন্দ্রসেতুকে ‘গেটওয়ে অব কলকাতা’ও বলা যায়।
 
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়
আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন এই বিশ্ববিদ্যালয়ে নানাধরনের আধুনিক পঠনপাঠন হয় এর বিজ্ঞান ও কলা বিভাগে। স্বাধীনতা-উত্তর সময়ে যাদবপুরে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা হয় আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থাকে শক্তিশালী করার মানসে।

ফোন: ২৪৭৩ ০৩৯৯/৪০৪৪/৪৪৯৫
 
কুমারটুলি
এখানকার সংকীর্ণ অলিগলিতে রয়েছে বিখ্যাত সব পটুয়াদের ঘর যেখানে মাটি, খড়, বাঁশের সাহায্যে গড়ে তোলা হয় বিভিন্ন উৎসবের জন্য নানাধরনের প্রতিমা। বিশেষ করে দুর্গাপুজোর প্রাক্কালে কুমারটুলি এর চরম উৎকর্ষের সাক্ষ্য বহন করে।

অবস্থান : শোভাবাজার স্ট্রিট
উপরে
বিধানসভা ভবন
হাইকোর্টের কাছেই অবস্থিত বিধানসভা ভবনে রাজ্য বিধানসভায় নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা অধিবেশনে অংশগ্রহণ করেন।

ফোন: ২২৪৮ ৬২১১।
 
লোরেটো হাউস
বাংলার গভর্ণর ভ্যানসিটার্ট এই বাড়িটিতে একদা বসবাস করতেন। কিন্তু ১৮৪১ সালে কলকাতার চাঁদপাল ঘাটে আয়ারল্যান্ড থেকে আগত একদল অল্পবয়সী লোরেট সন্ন্যাসিনী এসে পৌঁছনোমাত্র বাড়িটি তাদের বসবাসের জন্য ছেড়ে দেওয়া হয়। রাতারাতি এর পরিবেশ বদলে গিয়ে সন্ন্যাসিনীদের কেন্দ্রে পরিণত হয় এবং নামকরণ হয় লোরেটো হাউস।

অবস্থান: পার্কস্ট্রিট
 
মেট্রো রেলওয়ে
কলকাতার মুকুটে মেট্রো রেল একটি রত্ন। ভারতের প্রথম টিউব রেলওয়েটি কলকাতাকে উত্তরে দমদম থেকে দক্ষিণে গড়িয়া পর্যন্ত সংযুক্ত করেছে। প্রায় ২৫ কিমি দূরত্বে ২৩টি স্টেশন আছে, সমগ্র পথ অতিক্রম করতে ৫০ মিনিট সময় লাগে। পরিচ্ছন্ন পরিবেশ, তৎপর দ্রুত এবং ধারাবাহিক পরিষেবার দ্বারা মেট্রোরেল নিত্যযাত্রীদের যানজট এবং হয়রানির হাত থেকে রক্ষা করে চলেছে।

ফোন: ২৫৫৫৬-৫০৬৯/ ২২৪১-৩৯৫৯
 
নন্দন
কয়েকটি আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র প্রেক্ষাগৃহ এবং সত্যজিৎ রায়ের নামাঙ্কিত চলচ্চিত্র সংরক্ষণশালা নিয়ে গঠিত সাংস্কৃতিক কেন্দ্র।

ঠিকানা: ১/১, এ.জে.সি. বোস রোড, কলকাতা-২০
ফোন: ২২২৩-১২১০
উপরে
রাজভবন
স্বাধীনতাপূর্ব যুগে ১৮০৩ খ্রীস্টাব্দে নির্মিত সরকারি ভবন। এটি বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপালের বাসভবন।

অবস্থান: বি.বা.দী.বাগ।
ফোন: ২২২০-১৬৪১
 
বিদ্যাসাগর সেতু
এশিয়ার দীর্ঘতম এই তারের সেতুটি আধুনিক প্রযুক্তির একটি বিস্ময়। ভারতের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সন্তান বিদ্যাসাগরের নামে সেতুটির নামাঙ্কিত হয়েছে। হুগলি নদীর ওপর এই সেতু কলকাতার রবীন্দ্রসদনের কাছে হাওড়াকে সংযুক্ত করেছে। এটি দ্বিতীয় হুগলি সেতু হিসাবেও পরিচিত।
 
 
(এই ওয়েবসাইটের পাঠকদের সমস্ত ফোন নম্বর এবং অন্যান্য তথ্য যাচাই করে নিতে অনুরোধ করা হচ্ছে।
কেএমসিগভ.ইন কোনোরকম তথ্য ভ্রান্তির জন্য দায়ি নয়।)