Official Website Of Kolkata Municipal Corporation
   
۩   প্রথম পাতা
ব্যবসায় অনুজ্ঞাপত্র :: কয়েকটি জরুরি প্রশ্নোত্তর
 
১। এই বিভাগের বিশেষ কাজগুলি কী?
২। কে ব্যবসায় নথিভুক্তি শংসাপত্রের জন্য আবেদন করবেন?
৩। নতুন ব্যবসায় নথিভুক্তি শংসাপত্রের জন্য কীভাবে আবেদন করতে হবে?
৪। নতুন ব্যবসায় নথিভুক্তি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য কোন নথি জমা দিতে হবে?
৫। নতুন ব্যবসায় নথিভুক্তি শংসাপত্র পাওয়ার প্রত্যাশিত সময়সীমা কী?
৬। ব্যবসায় নথিভুক্তি শংসাপত্র পেতে অত্যধিক দেরি হলে করণীয় কী?
৭। কীভাবে ব্যবসায় নথিভুক্তি শংসাপত্র পুনর্নবীকরণ করা যায়?
৮। যদি মাশুল জমাকরণ বিজ্ঞপ্তি না পৌঁছয় তাহলে করণীয় কী?
৯। লাইসেন্স মাশুল প্রদানে বিলম্ব হলে উপভোক্তার দায়িত্ব কতখানি?
১০। নথিভুক্তি শংসাপত্র বিষয়ে আরও বিশদে জানতে হলে করণীয় কী?
১১। নথিভুক্তি শংসাপত্রের মুদ্রণে ভুল বা ব্যবসার স্থান পরিবর্তন জনিত সংশোধন বিষয়ে কীভাবে জানতে পারব?
১২। নথিভুক্তি শংসাপত্র বাতিল করতে হলে করণীয় কি?
 
১। এই বিভাগের বিশেষ কাজগুলি কী?
এই বিভাগের বিশেষ কাজগুলি হল :
ক) নতুন ব্যবসায়ে নথিভুক্তি শংসাপত্র প্রদান।
খ) ব্যবসায় নথিভুক্তি শংসাপত্র পুনর্নবীকরণ,
গ) মাশুল বাতিলকরণ এবং মাশুল জমা করায় ব্যর্থ ব্যবসায়ীদের ব্যবসার নথিভুক্তি বাতিল করা (স্বেচ্ছা সাপেক্ষ)।
ঘ) মাশুল জমায় ব্যর্থ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া,
ঙ) হস্তচালিত মালবাহী যানের জন্য নথিভুক্তি শংসাপত্র প্রদান।
চ) পুনর্নবীকরণ মূল্য গ্রহণ।
ছ) অন্যান্য বিভাগীয় কার্যকলাপ।

২। কে ব্যবসায় নথিভুক্তি শংসাপত্রের জন্য আবেদন করবেন?
কলকাতা পৌরসংস্থা এলাকার মধ্যে যে কোনো ব্যক্তি কোনোরকম ব্যবসা বা স্বনিযুক্তি পেশায় লিপ্ত থাকলে তাঁকে একটি নথিভুক্তিকরণ শংসাপত্র নিতে হবে। উক্ত ব্যবসা বা পেশায় নিয়োগে ইচ্ছুক ব্যক্তিগণও এই ব্যবসার নথিভুক্তি শংসাপত্রের জন্য আবেদন করবেন।


৩। নতুন ব্যবসার নথিভুক্তি শংসাপত্রের জন্য কীভাবে আবেদন করতে হবে?
ব্যবসার নথিভুক্তি শংসাপত্র বিভাগের যে কোনো বিনিময়কেন্দ্র থেকে আবেদনপত্র পাওয়া যাবে। কার্যালয়ের ঠিকানা জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন।

উপরে


৪। নতুন ব্যবসায় নথিভুক্তি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য কোন নথি জমা দিতে হবে?
নিম্নলিখিত নথিগুলি জমা দিতে হবে :
ক) ভর্তি করা আবেদনপত্র।
খ) ব্যবসাস্থলের দখলি পত্রের প্রমাণ।
গ) যদি কোনো কোম্পানির পক্ষ থেকে আবেদন করা হয় তাহলে সমঝোতাপত্র/গোষ্ঠীভুক্তির শর্তাবলি, ৩২ নং/১৮নং মুসাবিদা অনুসারে ঘোষণাপত্র। অংশীদারি সংস্থার পক্ষ থেকে আবেদন করা হলে এক প্রস্থ অংশীদারি দলিল জমা দিতে হবে।
ঘ) অন্যান্য বিশেষ ব্যবসায়ের জন্য প্রয়োজনীয় নথিপত্র:- এ বিষয়ে বিস্তারিত জানার জন্য বিভাগীয় আধিকারিকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে অথবা পৌরসংস্থার ওয়েবসাইটটি দেখতে হবে।
ঙ) ব্যবসায়ের উদ্যোগপতি/অংশীদারগণ/নির্দেশক(গণ)-এর স্বাক্ষর এবং মোহরসহ মুচলেকাপত্র (আন্ডারটেকিং)।


৫। নতুন ব্যবসায় নথিভুক্তি শংসাপত্র পাওয়ার প্রত্যাশিত সময়সীমা কী?
প্রয়োজনীয় সময় ৭ দিন, কিন্তু বিষয়টির জটিলতা বিবেচনা করে এই সময় বৃদ্ধি পেতে পারে।


৬। ব্যবসায় নথিভুক্তি শংসাপত্র পেতে অত্যধিক দেরি হলে করণীয় কী?
এ ধরনের অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটলে তার সমাধানের জন্য লাইসেন্স আধিকারিক বা সংশ্লিষ্ট শাখা কার্যালয়ের উপ-লাইসেন্স আধিকারিক-এর সঙ্গে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেওয়া হয়। অযৌক্তিকভাবে অত্যধিক দেরি বা কোনো গুরুতর অসুবিধা হলে কলকাতা পৌরসংস্থার কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে চিফ ম্যানেজার (লাইসেন্স)-এর সঙ্গে যোগাযোগ করা যেতে পারে।


৭। কীভাবে ব্যবসায় নথিভুক্তি শংসাপত্র পুনর্নবীকরণ করা যায়?
নথিভুক্তি শংসাপত্র নবীকরণ সম্বন্ধীয় একটি মাশুল জমা দেওয়ার বিজ্ঞপ্তি পাঠানো হয়। ওই বিজ্ঞপ্তির বিপরীত দিকে ছাপানো তালিকার অন্তর্গত যে কোনো কার্যালয়ে মাশুল জমা করা যাবে। নগদে অথবা কলকাতায় প্রাপ্তিযোগ্য ‘কলকাতা মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন’-এর নামে প্রদত্ত ডিমান্ড ড্রাফট্‌/পে অর্ডার মারফত মাশুল জমা করা যাবে। মাশুল জমা করার পর উপরোক্ত বিজ্ঞপ্তিটিকেই ব্যবসায় নথিভুক্তি শংসাপত্র হিসাবে গণ্য করা হয়।


৮। যদি মাশুল জমাকরণ বিজ্ঞপ্তি না পৌঁছয় তাহলে করণীয় কী?
এ ধরনের অস্বাভাবিক ঘটনার ক্ষেত্রে কলকাতা পৌরসংস্থা কার্যালয় (৫ নং, এস এন ব্যানার্জি রোড) বিভাগীয় বিশেষ কমপিউটার কেন্দ্রে বা সংশ্লিষ্ট শাখা কার্যালয়ে পূর্ববর্তী বছরের ব্যবসায় নথিভুক্তি শংসাপত্রের আসল জমা দিন। এরপর ওই কার্যালয় থেকে বর্তমান বছরের মাশুল বিজ্ঞপ্তির নকল সরবরাহ করা হবে।

উপরে


৯। লাইসেন্স মাশুল প্রদানে বিলম্ব হলে উপভোক্তার দায়িত্ব কতখানি?
এক্ষেত্রে ব্যবসায়ী নিম্নলিখিত পরিমাণ অতিরিক্ত মাশুল দিতে বাধ্য থাকবেন :
ক) এক বছর দেরি হলে সর্বশেষ নির্ধারিত তালিকা অনুসারে প্রদেয় মাশুলের দ্বিগুণ টাকা মাশুল হিসাবে জমা দিতে হয়।
খ) দুই বছর দেরি হলে সর্বশেষ নির্ধারিত তালিকা অনুসারে প্রদেয় মাশুলের তিনগুণ টাকা মাশুল হিসাবে জমা দিতে হয়।
গ) তিন বছরের অধিক দেরি হলে সর্বশেষ নির্ধারিত তালিকা অনুসারে প্রদেয় মাশুলের চারগুণ টাকা মাশুল হিসাবে জমা দিতে হয়।
পুনর্নবীকরণ মাশুল প্রদানের সময়ে ব্যবসায়ী দেরি হওয়া/বকেয়া মাশুল জরিমানাসহ শোধ করতে বাধ্য থাকবেন।


১০। নথিভুক্তি শংসাপত্র বিষয়ে আরও বিশদে জানতে হলে করণীয় কী?
এ বিষয়ে আরও বেশি জ্ঞাতব্য থাকলে পৌরসংস্থার কার্যালয়ে লাইসেন্স বিভাগের সহায়তাকেন্দ্রে (দূরভাষ-২২৮৬ ১০০০, এক্স-২৮৩৯) যোগাযোগ করা যেতে পারে। এছাড়াও লাইসেন্স বিভাগের যেকোন ইউনিট অফিসে যোগাযোগ করতে পারেন। ইউনিট অফিসগুলির সম্বন্ধে বিস্তারিত ভাবে জানতে এখানে ক্লিক করুন।


১১। নথিভুক্তি শংসাপত্রের মুদ্রণে ভুল বা ব্যবসায়ের স্থান পরিবর্তনজনিত সংশোধন বিষয়ে কীভাবে জানতে পারব?
সাদা কাগজে নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে সংশোধন প্রার্থনা করে আবেদনপত্র জমা দিতে হবে। কলকাতা পৌরসংস্থা এই বিষয়ে অনুসন্ধান করে এবং নির্ধারিত মাশুল জমা নিয়ে সংশোধিত নথিভুক্তি শংসাপত্র প্রদান করে থাকে।


১২। নথিভুক্তি শংসাপত্র বাতিল করতে হলে করণীয় কি?
নথিভুক্তি শংসাপত্র বাতিল করতে হলে, সেই অর্থবর্ষের প্রদেয় মাশুল জমা করে আবেদন করতে হবে। সঙ্গে মাশুল জমা করা শংসাপত্রটিও জমা দিতে হবে। পার্টনারশিপ সংস্থার ক্ষেত্রে বিচ্ছেদ (ডিসলিউশন) এর দলিল জমা করতে হবে এবং প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানির ক্ষেত্রে আর ও সি প্রদত্ত নথি জমা দিতে হবে; অন্যথায় আবেদন মঞ্জুর করা হবে না। সমস্ত নথি সঠিক ভাবে হলে দপ্তরের আধিকারিক পরিদর্শন করবেন এবং সেই অর্থবর্ষ থেকে শংসাপত্রটিকে বাতিল করা হবে। আসল (অরিজিনাল) শংসাপত্রের উপর ‘Closed’ ছাপ দিয়ে আবেদনকারীকে তা ফেরত দেওয়া হবে।

উপরে