Official Website of Kolkata Municipal Corporation
   
۩   প্রথম পাতা

বিপর্যয়ের ঝুঁকি হ্রাস কার্যক্রম
শহরে ভূমিকম্পজনিত ক্ষয়ক্ষতি হ্রাস প্রকল্প
(ডি ‍আর এম পি -র অঙ্গীভূত)
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক
ভারত সরকার
রাষ্ট্রসংঘ উন্নয়ণ প্রকল্প, ভারত ২০০২-২০০৮
 
যুক্তিসম্মত অনুমানের ভিত্তিতে চিহ্নিত রাজ্যগুলির সর্বাধিক এবং বহুবিধ বিপদসংকুল জেলাগুলিতে বিপর্যয়ের ঝুঁকি হ্রাস।
 
ভারতবর্ষের বহুবিধ বিপদসংকুল জেলা
 

ডি আর এম কর্মসূচির রূপায়ণ

প্রথম পর্ব ২০০২-০৪(২৮)  
– উড়িষ্যা (১২)
– গুজরাট (১১)
– বিহার (৫)
 
দ্বিতীয় পর্ব ২০০৩-০৭ (৯৭)
– উত্তরাঞ্চল (৮)
– বিহার (৯)
– পশ্চিমবঙ্গ (১০)
– অসম (১২)
– মেঘালয় (৭)
– সিকিম (৪)
– উত্তরপ্রদেশ (১৩)
– নিউদিল্লী (৯)
– মহারাষ্ট্র (১৪)
– তামিলনাড়ু (৬)
– উড়িষ্যা (২)
– গুজরাট (৩)
 
 
শহরের ভূমিকম্পজনিত ক্ষয়ক্ষতি হ্রাস
উপকর্মসূচি-বিপর্যয়ের ঝুঁকির হ্রাস কর্মসূচি-
 
ভারতের বৃহৎ ভূমিকম্প   সাম্প্রতিক ভূমিকম্প
• ১৮৯৭ - অসম (তীব্রতা ৮.৭)   • ১৯৬৭ - কোয়েনা (তীব্রতা ৬.৫)
• ১৯০৫ - কাংড়া (তীব্রতা ৮.৬)   • ১৯৮৮ - বিহার-নেপাল (তীব্রতা ৬.৬)
• ১৯৩৪ - বিহার-নেপাল (তীব্রতা ৮.৪)   • ১৯৮৮ - ইম্ফল (তীব্রতা ৭.২)
• ১৯৫০ - অসম (তীব্রতা ৮.৭)   • ১৯৯১ - উত্তরকাশী (তীব্রতা ৬.৬)
    • ১৯৯৩ - কিলারী, লাটুর (তীব্রতা ৬.৪)
    • ১৯৯৭ - জব্বলপুর (তীব্রতা ৬.০)
    • ১৯৯৯ - চামোলী (তীব্রতা ৬.৫)
    • ২০০১ - ভুজ (তীব্রতা ৬.৯)
 
 
সিসমিক (তীব্রতার স্তর অনুসারে) এলাকা মানচিত্র
• ভারতের চারটি অঞ্চল : ২ থেকে ৫
 – ৫ হল সবচেয়ে ভয়ঙ্কর যেখানে সম্ভাব্য তীব্রতা হতে পারে ১১-এর বেশি।
 – মোট অঞ্চলের সংখ্যা ৫টি (১ থেকে ৫)থেকে কমে ৪টিতে (২ থেকে ৫) এসেছে। ১ নং অঞ্চলের মৃদু বিপদ উপেক্ষণীয়।

• বর্তমান সময়ে প্রাপ্ত সর্বোৎকৃষ্ট তথ্যানুযায়ী।

• ভূমিকম্পের বিভিন্ন ঘটনার পর বিশেষত ভূমিকম্পের বিপদমুক্ত অঞ্চল হিসাবে স্বীকৃত (লাটুর, জব্বলপুর)স্থানে ভূমিকম্প ঘটে যাওয়ার পর সময়ে সময়ে সংশোধিত তথ্য।
 
শহরে ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি হ্রাসের উদ্দেশ্যে গৃহীত কর্মনীতি
১. সচেতনতা বৃদ্ধি
   • বিপদের স্বরূপ/আইনি ব্যবস্থাবলি/প্রযুক্তি সম্বন্ধে সংশ্লিষ্ট সকল স্তরে বোঝানো
২. ভূমিকম্প বিপর্যয় রোধে প্রস্তুতির মাত্রা বৃদ্ধি।
৩. গৃহনির্মাণের কাজে প্রযুক্তিগত পরিকাঠামো এবং আইনগত বাধ্যবাধকতা - বিপদের ঝুঁকিবৃদ্ধি রদ করা
   • আইন এ বিধি নিয়মের পর্যালোচনা ও সংশোধনী
   • আইন ও বিধি নিয়ম মানতে বাধ্য করার পদ্ধতি ও উপকরণের পর্যালোচনা
    ইতিমধ্যে সম্পূর্ণ হয়ে যাওয়া নির্মাণের ক্ষেত্রে, অবাঞ্ছিত ঝুঁকি কমানোর জন্য বাধ্যতামূলক ছাঁটকাট।
৪. প্রশিক্ষণ ও দক্ষতাবৃদ্ধি।
৫. এ বিষয়ে প্রচলিত শ্রেষ্ঠ কৌশল, ধারণা ও প্রথাপদ্ধতি সম্পর্কে জ্ঞানের আদান-প্রদান ও বিস্তার।
 
 
সচেতনতা বৃদ্ধি
• নগরকেন্দ্রিক সচেতনতা বৃদ্ধি পরিকল্পনা।
• পোষণকারী সংস্থা চিহ্নিতকরণ।
• তথ্য, জ্ঞান এবং যোগাযোগের উপাদানগুলি উন্নয়ণ, যেমন-বিষয়গত পুস্তিকা, স্থানীয় ভাষায় নিরাপদ গৃহনির্মাণ সম্পর্কে নির্দেশিকা ইত্যাদি।
• ইউ এল বি, বেসরকারি সেবাসংস্থা (এন জি ও), আবাসিক কল্যাণসংস্থা, ছাত্র - এদেরকে বিপদের স্বরূপ উপলব্ধি করানো।
• কর্মরত স্থপতি, গৃহনির্মাতা, গৃহের নকশানির্মাতা, বাস্তুকার এবং ঠিকাদারদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি।
• গণমাধ্যমকে সঠিকভাবে ব্যবহার করা।
• সমাজে সাধারণভাবে নিম্নলিখিত বিষয়গুলির ওপর সচেতনতা বাড়ানো দরকার।
  – সংশ্লিষ্ট এলাকায় ভূমিকম্পের বিপদের মাত্রা।
  – মাতৃভাষায় সহজভাবে আইনগত ব্যবস্থা।
  – সস্তা বিপর্যয়রোধী প্রযুক্তি।
  – ঘর-বাড়ির ভূমিকম্প বিপর্যয়রোধী বৈশিষ্ট্য।
  – অতি সাধারণ ছাঁটকাট করে গৃহকে ভূমিকম্পের বিপর্যয়রোধী করে তোলা।
  – ভূমিকম্পের বিপর্যয়রোধী শক্তিসম্পন্ন গৃহনির্মাণের সুবিধা এবং খরচ।
  – সংশ্লিষ্ট পরিবেশে ধ্বংসকার্যের ধরন।
 
নীতি-নির্ধারকদের সচেতনতা বৃদ্ধি
• বিষয়গত জ্ঞান এবং প্রয়োগের জন্য সম্পদ আহরণের উদ্দেশ্যে দক্ষতা বৃদ্ধি।
• বিপর্যয় মোকাবিলার প্রস্তুতি এবং ব্যবস্থাপনার উদ্দেশ্যে কর্তৃত্ব ও ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ।
• কেবলমাত্র নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণের পরিবর্তে কার্যকরী উদ্যোগ গ্রহণের প্রতি দৃষ্টিপাত।
 
 
ভূমিকম্প সুরক্ষা প্রস্তুতি সম্পর্কিত পরিকল্পনার অগ্রগতি
• পরিচালক সংস্থাগুলি চিহ্নিতকরণ।
• নাগরিক সমিতি/আর.ডব্লু. সমিতিগুলির সচেতনতা বৃদ্ধি।
• সুরক্ষা সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলির সঙ্গে বৈঠক।
• নাগরিক সমিতির বৈঠক।
• প্রতিটি ওয়ার্ড/মহল্লায় সাধারণ মানুষের সাথে বৈঠক।
• প্রতি ওয়ার্ড থেকে দুজন করে স্বেচ্ছাসেবক নির্বাচন।
• স্বেচ্ছাসেবকদের মধ্যে বিষয়টির ধারণা সৃষ্টি এবং প্রশিক্ষণ।
• স্বেচ্ছাসেবকদের সাহায্যে ওই এলাকার অধিবাসীদের মধ্যে সমীক্ষা।
  – সামাজিক সমীক্ষা, সম্পদ সমীক্ষা, সম্ভাব্য বিপদ অনুমান এবং সুরক্ষার আয়োজন পর্যালোচনা।
• সুরক্ষা প্রস্তুতি পরিকল্পনাটি ওয়ার্ড থেকে শুরু করে সমগ্র শহরের সাপেক্ষে উন্নীত করা।
• আপতকালীন বাহিনী গঠন।
• দুর্ঘটনা থেকে সুরক্ষা ও উদ্ধারকার্য পরিচালন ব্যবস্থা এবং নেতৃত্ব গড়ে তোলা।
 
প্রযুক্তি-বিধি ব্যবস্থা : নবনির্মাণের ক্ষেত্রে
• জাতীয় এবং রাজ্যস্তরে ক্ষমতাসম্পন্ন কমিটির দ্বারা আঞ্চলিক, আইনি বিধান ও গৃহনির্মাণ উপবিধিগুলি খতিয়ে দেখা।
•  স্থপতি এবং বাস্তুকারদের প্রশিক্ষণ ও শংসাপত্র দান।
• নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ এবং কর্মচারীদের দক্ষতা বৃদ্ধি।
•  জাতীয় এবং রাজ্যস্তরে নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষের কাজকর্মের প্রতি নজরদারির জন্য একজন উচ্চপদস্থ আইনি প্রতিনিধি ও তাঁর কাজের জন্য একটি প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো গড়ে তোলা।
•  নির্মাণসংস্থা, জমিবাড়ি উন্নয়নকারী (প্রমোটার) এবং গৃহনির্মাতাদের নথিভুক্তিকরণ এবং নিয়ন্ত্রণের জন্য নীতি- নির্দ্ধারণকারীদের ধারণা সৃষ্টি ও প্রশিক্ষণ।
 
 
প্রযুক্তি-বিধি ব্যবস্থা : ইতিমধ্যে সম্পূর্ণ হওয়া নির্মাণের ক্ষেত্রে
• অবাঞ্ছিত ঝুঁকি কমানোর জন্য নির্মাণের ছাঁটকাট।
• উচ্চ ঝুঁকিযুক্ত অঞ্চলে লক্ষ লক্ষ বিপজ্জনক বাড়ির অস্তিত্ব।
• বর্ষাকালে এদের অনেকগুলিই ভেঙে পড়ে।
• ব্যক্তিগত বাড়ির ছাঁটকাট
   – সমাজের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করে,
   – বিবিধ নির্মাণ পদ্ধতির মধ্যেই ছাঁটকাটের প্রদর্শন।
   – দক্ষতা সৃষ্টি।
• ছাঁটকাটের জন্য আর্থিক সংস্থাগুলির তহবিল থেকে অর্থের ব্যবস্থা।
• বাধ্যতামূলক ছাঁটকাটের জন্য আইন প্রণয়ন।
 
দক্ষতা বৃদ্ধি
• নির্মাণকার্যে নিযুক্ত সরকারি বাস্তুকার স্ব-নিয়োজিত স্থপতি বাস্তুকার এবং সম্পদ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান।
    • আইনি ব্যবস্থা নিরাপদ নির্মাণ এবং নির্মিত গৃহের ছাঁটকাট ইত্যাদি বিষয়ে দক্ষতা বৃদ্ধির প্রয়োজন।
• উন্নয়নকারী সংস্থা ইউ এল বি গুলি, সম্পদ-সরবরাহকারী সংস্থা, আবাসিক সম্মিলনী।
    • সচেতনতা সৃষ্টির কৌশল, ভূমিকম্প সুরক্ষা প্রস্তুতির অগ্রগতি এবং উদ্যোগ গ্রহণের পরিকল্পনা বিষয়ে দক্ষতা বৃদ্ধির প্রয়োজন।
• নীতি-নির্দ্ধারকগণ, আঞ্চলিক ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা, প্রযুক্তিবিধি ব্যবস্থার উন্নয়ন ইত্যাদি বিষয়ে প্রশিক্ষণ।
 
 
কমপিউটার যোগাযোগ ব্যবস্থা
• অর্জিত আদান-প্রদানের জন্য দূরসঞ্চার (ওয়েব)ভিত্তিক পোর্টাল গড়ে তোলা এবং ঝুঁকির হ্রাস ব্যবস্থা আন্তঃ শহর সহযোগিতা।
• অভিজ্ঞতা অর্জিত জ্ঞান বিনিময়ের জন্য শহরের প্রতিনিধি, জাতীয় বিশেষজ্ঞ, উপদেষ্টাদের নিয়ে গোষ্ঠী গড়ে তোলা।
• প্রতিটি শহরের বিপর্যয় মোকাবিলা উপকরণ তথ্যভান্ডার গড়ে তোলা এবং আই.ডি.আর.এন. সংযোগের মাধ্যমে সর্বত্র ছড়িয়ে দেওয়া।
• সর্বাধিক প্রচলিত প্রথা-পদ্ধতিগুলি নথিবদ্ধ করা এবং সকলের জ্ঞাতার্থে ছড়িয়ে দেওয়া।
• অন্যের অভিজ্ঞতা বিনিময় করা।
 
পূর্ব অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা----আমরা কী করি
ভুমিকম্পের ঘটনায় একজন মানুষের দীর্ঘমেয়াদী প্রতিক্রিয়া
পর্যায় সময় ভুমিকম্পের স্তর প্রতিক্রিয়া
ইতিবাচক নেতিবাচক
০-১ মিনিট তীব্র ভূমিকম্প   ভয়
১ মিনিট - ১ সপ্তাহ ভূমিকম্পোত্তর কম্পন উদ্ধার এবং মৃত্যুর হাত থেকে বেঁচে যাওয়া ‍আতঙ্ক
১ সপ্তাহ - ১ মাস ক্রমহ্রাসমান ভূমিকম্পোত্তর কম্পন স্বল্পমেয়াদী এবং জরুরি মেরামতি গৃহ নির্মাতা, গৃহের নকশা প্রস্তুতকারী সংশ্লিষ্ট প্রযুক্তিবিদ এবং আধিকারিকদের দোষী সাব্যস্ত করা।
১ মাস- ১ বছর   দীর্ঘমেয়াদি মেরামতি এবং নির্মাণকার্যের মান উন্নত করার প্রচেষ্টা  
১ বছর - ১০ বছর     ক্রমহ্রাসমান আগ্রহ
১০ বছর - পরবর্তী ভূমিকম্প     ভূমিকম্প সুরক্ষা ইত্যাদিতে খরচের ব্যাপারে উদাসীনতা, প্রচলিত নিয়মকানুন উপেক্ষা করা।
পরবর্তী ভূমিকম্প তীব্র ভূমিকম্প ১-৭ নং ধাপের পুনরাবৃত্তি
 
 
 
আমেদাবাদ শহরের একটি দৃশ্য - আপনার শহরের মতো এটিও জোন-III এর অন্তর্ভূক্ত
১৯৮৮ সাল থেকে ভারতে পাঁচটি মাঝারি মাপের ভূমিকম্প হয়েছে, যেগুলির তীব্রতার মান ৬.৫ এর কাছাকাছি। তাই ভূমিকম্পের বিপর্যয় মোকাবিলার প্রস্তুতির জন্য সবাই মিলে উদ্যোগ নেওয়া ছাড়া কোনো উপায় নেই।