পূর্ব ভারতের সবচেয়ে বড় শহর অর্থাৎ মহানগর হল কলকাতা... |
 |
|
|
|
কলকাতা মহানগরী ... |
 |
|
|
|
ভূমিকা |
• ভূতাত্ত্বিক মতে ভূমিকম্পজনিত ক্ষয়-ক্ষতির সম্ভাবনার নিরিখে কলকাতার অবস্থান মধ্যমমাত্রার বিপদসঙ্কুল অঞ্চলে হলেও তা উচ্চমাত্রার বিপদসঙ্কুল অঞ্চলের খুবই নিকটবর্তী।
• এই শহর আবার তীব্র ঝড় ও ঝঞ্ঝাজনিত ক্ষয়-ক্ষতির নিরিখে উচ্চমাত্রার বিপদসঙ্কুল অঞ্চলে অবস্থিত।
• বিপর্যয়ের ফলে ধ্বংসকবলিত মানুষের সুরক্ষা এবং প্রাণধারণের উপায়গুলি সংকীর্ণ হয়ে পড়ে। এছাড়া উন্নয়নের সাফল্যগুলি অন্তর্হিত হয়।
|
 |
• ভারত সরকার এবং ইউ.এন.ডি.পি. পরিচালিত বিপর্যয় মোকাবিলা প্রকল্পের অংশ হিসাবে কলকাতায় উ.ভি.আর.পি. চালু হয় ২০০৫ সালের মার্চ মাসে। কলকাতা পৌরসংস্থায় এটি বাস্তবায়িত হয় পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিপর্যয় ত্রাণ বিভাগের তত্ত্বাবধানে। |
|
|
|
কলকাতা শহরে ভূকম্পজনিত ক্ষয়ক্ষতি হ্রাস প্রকল্পের প্রধান কাজগুলি |
 |
|
সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য ২০০৭ এর ডিসেম্বর পর্যন্ত গৃহীত পরিকল্পনাগুলি |
প্রশাসক/প্রধান আমলা/নীতি নির্দ্ধারকদের এই বিষয়ে নিবেদিতপ্রাণ করে তোলা
• এই অঞ্চলের সম্ভাব্য বিপর্যয়, কলকাতা তথা পশ্চিমবঙ্গের ওপর তার অভিঘাত এবং সেগুলির সুরক্ষা ও ত্রাণের প্রস্তুতি ও সতর্কতার বিষয়টি অন্ততপক্ষে ২২৫ জন প্রশাসক/নীতি নির্দ্ধারক এবং প্রবীণ আমলার উপলব্ধিতে আনা হয়েছে।
বাস্তুকার, স্থপতি এবং রাজমিস্ত্রি/ছুতোর মিস্ত্রি/নির্মাণ কাজের জন্য লোহার শিক বাঁধা ও বাঁকানোর মিস্ত্রি/গৃহ-সরঞ্জাম স্থাপন ও আটকানোর কারিগর এদের উপলব্ধি জাগ্রত করা।
• কলকাতা পৌরসংস্থার ১১৪ জন কর্মী বাস্তুকার এবং কারিগরকে এ বিষয়ে শিক্ষিত করে তোলা হয়েছে।
বাস্তুকার ও কারিগর ব্যতীত অন্যান্য পেশাজীবী মানুষকে সচেতন করা
• রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারি বিভাগের ১৫০ জন পেশাজীবী কর্মীকে সচেতন করে তোলার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছিল, তার মধ্যে ১৪৪ জনকে প্রশিক্ষিত করা হয়েছে। |
|
ইউ.ই.ভি.আর.পি. কার্যক্রমের অধীনে আই.এফ.এস. বেহালায় অগ্নিনির্বাপন এবং আপৎকালীন পরিষেবা আধিকারিককে প্রশিক্ষণ। |
 |
 |
|
|
|
২০০৭-এর ডিসেম্বর পর্যন্ত গৃহীত কর্মসূচি - সচেতনতা বৃদ্ধি। |
বিদ্যালয় স্তরে সংবেদিতা সৃষ্টি
• কলকাতা পৌরসংস্থা পরিচালিত ৭৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এবং ১০০টি শিশু শিক্ষাকেন্দ্রের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের অংশগ্রহণ সুরক্ষা এবং বিদ্যালয় সচেতনতা কর্মসূচী সফলভাবে সম্পূর্ণ হয়েছে।
• আই.সি.এস.ই./সি.বি.এস.ই. নির্দেশিত দুটি উচ্চ বিদ্যালয়ও এই সংবেদিতা সৃষ্টি কার্যসূচিতে অন্তর্ভূক্ত হয়েছে।
• কলকাতা শহরের ১৮০টি বিদ্যালয়ের (৭টি উচ্চ বিদ্যালয় সহ) ২০৭০ সংখ্যক ছাত্র এবং ৩৮১ জন শিক্ষক সংবেদিতা সৃষ্টি কার্যসূচিতে অংশগ্রহণ করেছেন।
কলেজ স্তরে সংবেদিতা সৃষ্টি
• কলকাতা শহরের ৩টি সাধারণ কলেজের ১৭৭ জন ছাত্র সংবেদিতা সৃষ্টি কার্যসূচিতে অংশগ্রহণ করেছেন।
বাণিজ্যিক সংস্থায় সংবেদিতা সৃষ্টি
• কলকাতা শহরে কার্যালয় রয়েছে এমন দুটি বাণিজ্যিক সংস্থায় (টাটা স্টিল এবং বামার লরি) সংবেদিতা সৃষ্টি কার্যসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। |
|
কলকাতা শহরে বিদ্যালয়গুলির ছাত্র ও শিক্ষকদের মধ্যে সংবেদিতা সৃষ্টি কার্যক্রম। |
 |
 |
|
২০০৭-এর ডিসেম্বর পর্যন্ত গৃহীত কর্মসূচি - সচেতনতা বৃদ্ধি। |
গণসচেতনতা কার্যক্রম
• চ্যাপলিন হলে অনুষ্ঠিত একটি অনুষ্ঠানে কলকাতা পৌরসংস্থার ৫০টি বিভিন্ন নাগরিক সংশ্লিষ্ট সমিতির ৫০ জন সদস্য উপস্থিত ছিলেন।শহরের ভূমিকম্প ভয়াবহতা হ্রাস কার্যক্রমের অধীন প্রচারপত্র ছাপানো হয়েছে।
• ২৫,২০০ সংখ্যক রঙিন প্রচারপত্র (বাংলা, হিন্দি এবং ইংরাজি ভাষায়) ছাপানো হয়েছে এবং সংবেদিতা সৃষ্টি কর্মসূচি চলাকালীন এর বেশিরভাগই বিলি করা হয়েছে।
ব্যানার এবং হোর্ডিং প্রদর্শন
• ১৫টি হোর্ডিং এবং দুটি ব্যানার প্রদর্শিত হয়েছে যাতে দেখানো হয়েছে ভূমিকম্পের সময়ে কী কী করা উচিত বা কী কী করা উচিত নয়। শহরের ৫টি প্রধান স্থানে ৫টি বড় হোর্ডিং প্রদর্শিত হয়েছে।
কেবল্ টি.ভি. মাধ্যমে প্রচার
• ভূমিকম্প বিপর্যয়ে কী কী করা উচিত বা কী কী করা উচিত নয় তা দেখানোর জন্য ইউ.ই.ভি.আর.পি. প্রকল্পে একটি টেলিভিশন চিত্র নির্মাণ করা হয়েছে যা কেবল্ টি.ভি.র মাধ্যমে শহরের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে তিন দফায় সম্প্রচারিত হয়েছে। |
|
|
২০০৭-এর ডিসেম্বর পর্যন্ত গৃহীত কর্মসূচি - প্রশিক্ষণ এবং দক্ষতা বৃদ্ধি |
বাস্তুকার এবং স্থপতিদের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম
• কলকাতা পৌরসংস্থায় কর্মরত ৯৯ জন গৃহনির্মাণ এবং কাঠামো বিশেষজ্ঞ বাস্তুকারকে বিপর্যয় সহনক্ষম গৃহনির্মাণ বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে, যাঁদের মধ্যে ৩৬ জন একনজরে গৃহ/অট্টালিকার বিপর্যয় সহনক্ষমতা চিহ্নিতকরণে (আর.ভি.এস.) প্রশিক্ষিত হয়েছেন।
• এই বিষয়ে বঙ্গীয় প্রযুক্তি এবং বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেঙ্গল ইঞ্জিনিয়ারিং এবং সায়েন্স ইউনির্ভাসিটি)অধ্যাপকগণ এবং রাজ্য পূর্ত দপ্তরের প্রবীণ বাস্তুকারগণ প্রশিক্ষণের দায়িত্বে ছিলেন।
রাজমিস্ত্রি/ছুতোর/নির্মাণকার্যে শিক বাঁধাই ও বাঁকানোর মিস্ত্রি (বার বেন্ডার) এবং গৃহস্থালির যন্ত্রাদি স্থাপনা ও আটকানোর কারিগরদিগের (ফিটার) প্রশিক্ষণ
• বিপর্যয় সহনক্ষম গৃহনির্মাণের ওপর ৫৬ জন নির্মাণকর্মীকে (রাজমিস্ত্রি/ছুতোর/নির্মাণকার্যে শিক বাঁধাই ও বাঁকানোর মিস্ত্রি এবং গৃহস্থালির যন্ত্রাদি স্থাপনা ও আটকানোর কারিগর) দুটি দলে বিভক্ত করে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
• টাটা স্টিল লিমিটেড সংস্থার সহযোগিতায় এই প্রশিক্ষণ আয়োজিত হয়।
প্রশাসক/নীতিনির্দ্ধারক/প্রবীণ আধিকারিক/নোডাল আধিকারিকদের প্রশিক্ষণ
• কলকাতা পৌরসংস্থা সহ অন্যান্য সংস্থার ৭৮ জন আধিকারিককে এ পর্যন্ত প্রশিক্ষিত করা হয়েছে।
বিদ্যালয় শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ
• কলকাতা পৌরসংস্থা পরিচালিত ৪০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪০ জন শিক্ষককে ৩ দিনের একটি প্রশিক্ষণ শিবিরের প্রশিক্ষিত করার ব্যবস্থা হয়েছিল ২০০৭ সালের নভেম্বর মাসে। |
|
রাজমিস্ত্রি/ছুতোর/নির্মাণকার্যে শিক বাঁধাই ও বাঁকানোর মিস্ত্রি (বার বেন্ডার) এবং গৃহস্থালির যন্ত্রাদি স্থাপনা ও আটকানোর কারিগরদিগের (ফিটার) প্রশিক্ষণ |
 |
 |
|
শহরে আপৎকালীন কার্যক্রম পরিচালনা কেন্দ্র/নিয়ন্ত্রণকক্ষ
• কলকাতা পৌরসংস্থার সুসজ্জিত নিয়ন্ত্রণকক্ষ সারাবছর ২৪ ঘন্টা খোলা থাকে।
বিপর্যয় মোকাবিলা সংক্রান্ত ওয়ার্ড কমিটি
• কলকাতা পৌরসংস্থার ৭২ টি ওয়ার্ড কমিটি, পৌর মহাধ্যক্ষের আদেশবলে, বিপর্যয় মোকাবিলা সংক্রান্ত ওয়ার্ড কমিটি হিসাবে কাজ করছে।
উদ্যোগ পরিকল্পনা
• কলকাতা পৌরসংস্থা পরিচালিত ৪০টি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার পর তাদের মধ্যে ৩৪টি বিদ্যালয় বিপর্যয় মোকাবিলা এবং বিদ্যালয়ের সুরক্ষার জন্য তাঁদের পরিকল্পনা জমা দিয়েছেন।
প্রযুক্তি-বিধি আরোপ
• কলকাতা পৌরসংস্থার গৃহনির্মাণ আইনের উপ-ধারাগুলি পর্যালোচনা করে একটি খসড়া সংশোধনী প্রস্তুত করার জন্য পৌরসংস্থায় একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি তৈরি করা হয়েছে। এই কমিটির সুপারিশক্রমে একটি খসড়া সংশোধনী প্রস্তাব পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পৌর বিষয়ক দপ্তরের অধীনে কার্যকর হওয়ার পথে অগ্রসর হচ্ছে। |
|
এগিয়ে চলা |
পরিকল্পিত ভবিষ্যত কর্মসূচি
• বিদ্যালয় এবং কলেজ স্তরে (পলিটেকনিক কলেজসহ)প্রশিক্ষণ দান।
• ওয়ার্ডের নির্বাচিত পৌর প্রতিনিধিদের মধ্যে সংবেদিতা সৃষ্টি।
• শহরের নাগরিকবৃন্দের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে সভা আয়োজন করা।
• বাস্তুকার, স্থপতি, রাজমিস্ত্রিদের মধ্যে বিপর্যয় সহনক্ষম গৃহনির্মাণ প্রযুক্তি সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দান।
• সংশ্লিষ্ট সরকারি এবং অন্যান্য সংস্থার পরিচালনায় বিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং ছাত্রদের নিয়ে প্রশিক্ষণ আয়োজন করা।
• বিদ্যালয় এবং ওয়ার্ডে স্বেচ্ছাসেবকদের নিয়ে বিপর্যয়-সুরক্ষা দল গঠন এবং প্রশিক্ষণ দান।
• ওয়ার্ড এবং সমগ্র শহর জুড়ে বিপর্যয় মোকাবিলা পরিকল্পনা, সাধারণ পরিচালনা ব্যবস্থা এবং সম্পদের তালিকা প্রস্তুত করা।
• বিদ্যালয় এবং কলেজ স্তরে বিপর্যয় মোকাবিলার মহড়া আয়োজন করা।
• গৃহনির্মাণ আইনের উপধারাগুলি সংশোধন।
• বিপর্যয় মোকাবিলা সুরক্ষা জ্ঞান বিস্তারের জন্য ওয়েবসাইট গঠন।
• অন্যান্য সরকারি ও বেসরকারি সংস্থাগুলির সঙ্গে সহযোগিতা এবং বোঝাপড়া গড়ে তোলা।
• সরকারি এবং বেসরকারি যৌথ উদ্যোগ গড়ে তোলা। |
|
|
|